অবতক খবর,১৩ নভেম্বর: আশ্বিনের দুর্গা পূজা থেকেই মাতৃ আরাধনায় মেতে ওঠে বাঙালি। প্রথমে দেবী দূর্গা, পড়ে লক্ষ্মী। কালী পূজার পরেই কার্তিক মাসে মায়ের আরো এক অবতার মা জগদ্ধাত্রীর আরাধনায় ব্রতী বাঙালি। বেশ ধুমধাম এবং জাকজমোক করেই আরাধনা করা হয় মায়ের।

তবে এই করোনা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে তেমন জাঁকজমক দেখা যায়নি এবছর।
তবে প্রায় কুড়ি ফুট দীর্ঘ উচ্চতার মায়ের মূর্তি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে মানুষের। পাথরপ্রতিমা থানার লক্ষ্মী জনার্দনপুর অঞ্চলে পূর্ব চিন্তামনিপুর ফুটবল ময়দানে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও জগদ্ধাত্রী মায়ের আরাধনা করা হয়। রীতিমতো সমস্ত সরকারি বিধিনিষেধ মেনেই চলে মাতৃ আরাধনা।

এমনকি বারবার করা হচ্ছে মাইকিং, যাতে করে মানুষ প্রতি মুহূর্তে সতর্ক থাকতে পারেন। পূজোর সেক্রেটারি জানান, দেখতে দেখতে 14 তম বর্ষে পদার্পণ করলো এই পূজা। সমস্ত প্রশাসনিক এবং সরকারি বিধিনিষেধ মেনেই কমিটি পরিচালনা করছে। তিনি আরো জানান মাস্ক-স্যানিটাইজারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে মণ্ডপে। সাথে চালানো হচ্ছে মাইকিং প্রতিমুহূর্তে প্রচার করছে কমিটির সদস্যরা।

সকাল নটা নাগাদ থাকছে ঘটোত্তলন সন্ধ্যায় শোভাযাত্রা ও মহা ভোগ বিতরণ। সব মিলিয়ে টানা চার দিনের আয়োজন। ছাড়ো মূল দৃষ্টি আকর্ষণ হলো সন্ধ্যাকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নাচ গান আবৃত্তি পাশাপাশি অন্যান্য খেলা। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তেই।
কুড়ি ফুট উচ্চতার এই প্রতিমা পাথরপ্রতিমা থানার অন্তর্গত লক্ষ্মী জনার্দনপুর এলাকার সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।