অবতক খবর,১০ মে: ইরিগেশন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে ভাঙ্গন পরিদর্শন করলেন বিধায়ক। গত কয়েকদিন ধরেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে গোটা শান্তিপুরে দফায় দফায় চলছে ভারী বৃষ্টিপাত। তারই মধ্যে আবারো নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে শান্তিপুর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গঙ্গার তীরবর্তী এলাকার বসবাসকারী মানুষের মধ্যে। গত কয়েক মাস আগেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে শুরু হয় ভারী বৃষ্টিপাত, আর তার ফলে শান্তিপুর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের স্টিমার ঘাট এলাকার জল প্রকল্পর নিচের অংশে বড় ফাটল দেখা দেয়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যান শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী, যদিও বিধায়কের সাথে পরিদর্শন করেন ইরিগেশন দপ্তরের আধিকারিকরা। পরিদর্শন করে বিধায়ক দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দেন স্থানীয়দের। আজ আবারো ইরিগেশন দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে নিয়ে নদী তীরবর্তী বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন বিধায়ক।

পরিদর্শনের শেষে বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী বলেন, শান্তিপুর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গোবার চর, চর সারাগর এলাকার একটা বড় অংশ দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গনের একটা বিরাট সমস্যা। আমি বিধায়ক হওয়ার পরে ওই এলাকায় যে জল প্রকল্প রয়েছে সেখানে একটা টাকা বরাদ্দ করেছিলাম, একটা প্রজেক্টও জমা পড়েছিল। এখন বর্তমান জায়গাটির কি পরিস্থিতি আছে সেটি খতিয়ে দেখার জন্য ইরিগেশন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে পরিদর্শন করি। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা চাইছি চারটি স্তরে স্পার বাঁধিয়ে ভাঙ্গনের প্রতি মুখটা যাতে ঘোরানো যায়, পরবর্তীতে একটা মোটা অংকের টাকা অ্যালটমেন্ট হলে স্থায়ীভাবে গঙ্গার পাড় বাঁধানো হবে।

যদিও এই গঙ্গা ভাঙ্গন শান্তিপুরের একটা বড় সমস্যা, বিধানসভা ভোটের আগে গঙ্গা ভাঙ্গন পরিদর্শনে অনেক রাজনৈতিক নেতারা গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে শান্তিপুরে আবারো উপনির্বাচন হয়, এই উপনির্বাচনের শান্তিপুর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত গঙ্গার তীরবর্তী এলাকাগুলিতে ভোট প্রচারে গিয়ে বিধায়ক কিশোর গোস্বামী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি ক্ষমতায় আসলে তাদের এই দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান করবেন। তবে এখন এইটাই দেখার কত দিনে এই সমস্যা সমাধান হয়।

অন্যদিকে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে গঙ্গার তীরবর্তী এলাকার বিঘা বিঘা চাষের জমি থেকে শুরু করে বসত বাড়ি চলে গেছে ভাঙ্গনের কবলে। ঘরছাড়া হতে হয়েছে একাধিক পরিবারকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংকেত এলেই চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ তৈরি হয় ওই গঙ্গার তীরবর্তী এলাকার বসবাসকারী মানুষ গুলির মধ্যে। আগামী দিনে এই আতঙ্ক তারা কতটা কিকাটিয়ে উঠতে পারবেন তা শুধু সময়ের অপেক্ষা।