অবতক খবর: মালদহের বামনগোলা কাণ্ডে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকাকে দ্বিচারিতা বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, মণিপুরের ঘটনায় ৩ মাস পর রিপোর্ট তলব করল। ওখানে কী ঘটছে তা না দেখে চোখ বন্ধ করে রয়েছে কমিশন। এদিকে বাংলাকে বদনাম করতে মালদহের ঘটনায় রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।”

সম্প্রতি, মালদহের বামনগোলায় চোর সন্দেহে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বদলে প্রথমে চোর সন্দেহে দুই মহিলাকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই ঘটনা ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠেছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এবার এই ঘটনাতেও তড়িঘড়ি রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

সূত্রে খবর, কমিশন বামনগোলা কাণ্ডে ২ সপ্তাহের মধ্যে জেলা পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট দিতে বলেছে ।পাশাপাশি, রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকেও লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছে।প্রসঙ্গত,একদিকে তৃণমূল যখন মণিপুরের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে নিশানা করে একের পর এক তোপ দেগে চলেছে, তখন পশ্চিমবঙ্গের মালদার বামনগোলায় ২ আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে মারধর ও অকথ্য অত্যাচারের অভিযগে সরব রাজ্য বিজেপি। যে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছে পুলিশও।

বিজেপির তরফে অভিযোগ, বামনগোলার পাকুয়া হাটে ২ আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে নির্মমভাবে মারধর করা হয়। অকথ্য অত্যাচার করা হয় তাঁদের ওপর। পুলিশের সামনেই গোটা ঘটনা ঘটে। কিন্তু পুলিশ কোনও ভূমিকা পালন করেনি। পুলিশ নীরব দর্শকের মত হাত গুটিয়ে বসেছিল। এই অভিযোগ তুলে একটি ভিডিয়ো টুইট করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির আরও দাবি, ইতিমধ্যেই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। গত ১৯ জুলাই ঘটনাটি ঘটে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পুলিশ জানিয়েছে, ‘হাটে চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে মারধর ও জামাকাপড় ছিঁড়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এরপর কোনও পক্ষ-ই পুলিসে কোনও রিপোর্ট করেনি। গতকাল সোশ্যাল মিডিয়া মারফত ভিডিয়োটি পুলিসের নজরে আসে। তারপর পুলিস নিজেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।’ ছবি দেখে শনাক্ত করে বামনগোলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। ওদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লেবু বিক্রি করতে বামনগোলার পাকুয়াহাটে গিয়েছিলেন ওই দুই আদিবাসী মহিলা। হাটেই তাঁদের চোর সন্দেহে মারধর করা হয়।