অবতক খবর,৩০ এপ্রিলঃ রবিবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

তৃণমূলের প্রতি আস্থা আছে জীবন কৃষ্ণ সাহা। তিনি বলেছেন দল আমার পাশে আছে। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,
সে তো যারা ধরা পড়েছে সবাই বলছে এটা ঠিক উনার বলার অধিকার আছে টাকা তুলে দলকেও দিয়েছেন। নেতাদেরকেও দিয়েছেন। আশা করছেন দল পাশে থাকবে কিন্তু দল কত দূরে বা কত পাশে আছে সেটা ভবিষ্যতে বোঝা যাবে। আমি জানি না তৃণমূলের মত দল যারা নিজেকে সততার প্রতীক বলে তারাই চোরদের সঙ্গে কতটা থাকবে।

কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার রহস্য মৃত্যু, তারপরে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে পুলিশ গুলি করে মেরেছে তারপর ওখানকার আইসিকে বদল করা হয়েছে——
দেখুন এত কিছু হয়ে যাবার পর ওখানকার আইসিকে বদল করা হলো। সেই আইসি তার কাছে অপরাধী গিয়ে প্রথম সারেন্ডার করে তারপরে উনি বয়ান দিচ্ছেন এটা সুইসাইড কেস। যে অপরাধী সে বলেছে তিনি রেপ করেছেন হত্যা করেছেন সেই মেয়েটিকে সেখানকার প্রধানের কাছে বলেছে ওসির কাছেও। তারপরে ওসি কি করে বলতে পারে সেটা সুসাইড কেস। তাকে ক্লোজড করা উচিত সাজা দেওয়া উচিত তার বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত ।তিনি এর সাথে যুক্ত কিনা।

আসানসোলের জামুরিয়ায় বিজেপি কর্মী রাজেন্দ্র কুমার সাউকে প্রকাশ্য দিবালোকে শ্যুট আউট——
পশ্চিমবাংলায় শ্যুট আউটের ঘটনা ,স্বাভাবিক হয়ে গেছে। বিশেষ করে কোল বেল্টে লেখা রাজু ঝাঁ কে শ্যুট আউট করা হলো তারপর ওকে করা হলো ।এই যে দুর্বৃত্তদের মুক্তাঞ্চল হয়ে গেছে, তার বিরোধিতা করছি বলি আমাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমি জানিনা যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে সারা গ্রাম বাংলাতে এবং বোম বন্ধুকের আওয়াজ এবং যেভাবে শ্যুট আউট শুরু হয়ে গেছে তারপর তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ সাধারণ মানুষকে মেরে দাও।পুলিশও বাড়িতে গিয়ে গুলি করে মেরে দিচ্ছে কিসের এই গুলি গোলা কেন চলছে, সরকার কি ভাবছে এই নিয়ে ।সমাজে যদি অপরাধ বাড়তে থাকে মানুষ ভয়ে চিন্তায় আছেন। সাধারণ মানুষ প্রতিকারের জন্য কি তারাও হাতিয়ার তুলে নেবেন। তারাও কি দুর্বৃত্ত কারীদের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিজেরা প্রাণ বাঁচানোর জন্য লড়াই করবে তাহলে পুলিশ প্রশাসন কি করবে।

জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্য প্রসঙ্গে—–
সেটা ওদের পার্টির ব্যাপার। তৃণমূলে চোর আছে, দলটা পুরো চোরদের হয়ে গেছে। সেটা নিয়ে বলার কিছু নেই এখন অনেকে ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন জনগণ যখন বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে। তাই হয়তো এ ধরনের কথা বলছেন। এটা  সারা দুনিয়া জেনে জেনে গেছে চোরেদের দল এটা।

মন কি বাতের ১০০তম পর্বে নজরে নন্দীগ্রাম। মন কি বাত-এর ১০০তম এপিসোড দেশের ১৬ জায়গায় সরকারি ভাবে শোনার ব্যবস্থা। বাংলায় জমি আন্দোলনের আতুঁরঘর নন্দীগ্রাম কেন সেই তালিকায়?—
সারা পশ্চিমবাংলায় সারা ভারতবর্ষে সাড়ে দশ লক্ষ বুথ আছে। ৫০ শতাংশের বেশি বুথে প্রোগ্রাম করব পশ্চিমবাংলাযতে। অন্যান্য রাজ্যে সব বুথেই হবে এই যে টার্গেট আছে সেটা দেখা যাবে বিশ্ব রেকর্ড হবে ম্যাক্সিমাম বুথে ১০০ জনের বেশি উপস্থিত হবেন সাধারণ মানুষ। যারা শোনেন অনেকে ভুলে যান মনে থাকে না বা ব্যবস্থা থাকে না সেই জন্য আমরা ঠিক করেছি সবাইকে এক জায়গায় বসিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাতের ১০০তম এপিসোড শোনাবো। এটা একটা বিশ্ব রেকর্ড হবে। সারা বিশ্বে কোন নেতা এই ধরনের প্রোগ্রাম ১০০ এপিসোড করতে পারেননি বা এত রেসপন্স মানুষের পাওয়া যায়নি। দেশের ১০০কোটির বেশি মানুষ এটা শোনেন সমস্ত মানুষ এটা শুনুন ।অরাজনৈতিকভাবে সমাজের ব্যাপার, দেশের ব্যাপার ,উন্নয়নের ব্যাপার, মাননীয় মোদীজি বলেন সমাজে বহু লোক উপকৃত হয়েছেন তারা স্বীকারও করেছেন।