অবতক খবর: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেউ অবমাননা কর মন্তব্য করলে সেটা দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ কিন্তু তার জন্য দেশদ্রোহীতার অভিযোগ আনা যায় না। এমনটাই পর্যবেক্ষণ কর্ণাটক হাইকোর্টের। ২০২০ সালে সিএএ ও এনআরসি ইস্যুতে একটি নাটক করেছিল শাহিন স্কুলের পড়ুয়ারা।

ওই নাটকে একটি বিতর্কিত সংলাপ ছিল, প্রধানমন্ত্রীকে জুতোপেটা করতে হবে। শুধু তাই নয়, একাধিক সরকারি নীতিকেও তুলোধনা করা হয় নাটকে। গোটা নাটকের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন আধিকারিকদের একজন। নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় নাটকের বিতর্কিত সংলাপগুলি।

তারপরেই স্কুলের আধিকারিকের বিরুদ্ধে দায়ের হয় দেশদ্রোহিতার অভিযোগ। তিন বছর মামলা চলার পরে শুক্রবার সেই অভিযোগ খারিজ করল কর্ণাটক হাইকোর্ট।বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “প্রধানমন্ত্রীকে জুতো দিয়ে মারতে হবে, এই মন্তব্য অত্যন্ত অপমানজনক। খুবই দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য। কিন্তু তাকে দেশদ্রোহিতার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায় না। সরকারের সমালোচনা করা যেতেই পারে, কিন্তু সরকারি প্রতিনিধিদের অপমান করা যায় না।”

কর্ণাটক হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়েছে, নাটকটি স্কুলের মধ্যেই মঞ্চস্থ হয়েছে। পড়ুয়ারা এমন কোনও মন্তব্য করেনি যার কারণে হিংসা ছড়াতে পারে বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। তবে এই ঘটনার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে আদালত। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি নীতির সমালোচনা না করে পড়ুয়ারা যাতে অন্যদিকে জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করে স্কুলের উচিত সেদিকে নজর দেওয়া।