অবতক খবর,২১ মার্চঃ উত্তর ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত সুন্দরবন। আর সেই সুন্দরবন মানেই খেটে খাওয়া দরিদ্র গরিব মানুষের বসবাস। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসার ।এই মাসেই শেষ হচ্ছে প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড সংযোগ করার সময়সীমা। আরে শেষ বেলায় বাড়ছে জটিলতা। প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের জন্মতারিখ থেকে শুরু করে নামের বানান পর্যন্ত বিভিন্ন রকমের জটিলতা ধরা পড়ছে।

তার জন্যই হচ্ছে জটিলতা জটিলতমভাবে সংযোগ করলেও কতটা গ্যারান্টি হবে সে প্রশ্নটা ওর থেকে যাচ্ছে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় মোদীজ এর বিরোধিতা করেছিলেন বর্তমানে তার সময়ে তিনি আবার তার উপরেই জোর দিয়েছেন।কেন্দ্র সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক বাড়িতেই প্রায় দু তিন খানা করে ব্যাংক একাউন্ট আছে। এবং তার জন্য করতে হয়েছে প্যান কার্ড আর তাতে এই আধার কার্ড লিঙ্ক করাতে গিয়ে গুনতে হচ্ছে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা। যেটা আগে ছিল ৫০০ টাকা এখন সেটা 1000টাকা। যেটা কিনা আগে একটা সময় ফ্রিতে করা যেত।বলা হয়েছে 1লা মার্চে থেকে দশ গুন বেড়ে যাবে। আদৌ যে পয়লা মার্চের পর থেকে সংযুক্তিকরণ গ্রাহ্য হবে কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই।তাতেই মানুষের সমস্যা।

সাধারণ গ্রাম বাংলার মানুষের এই এক হাজার টাকা করে কেড়ে নেয়া মানেই তাদের হাতে না মেরে ভাতে মারার সমান। আবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংযুক্তিকরণ না হলে প্যান কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছে আয়কর দপ্তর। নির্ধারিত সময়ে পেরিয়ে গেলে দুই কার্ডের সংযোগ করাতে গেলে সেটা আবার একলা পেয়ে অংক বেড়ে 10000 এ দাঁড়িয়ে যাবে। হিঙ্গলগঞ্জের বাঁকড়া তথ্য মিত্র কেন্দ্রের সঞ্চালক মিন্টু গাজী তিনি জানাচ্ছেন হঠাৎই এই নির্দেশিকা জারি করার ফলে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার সাধারণ নিম্নবিত্ত মানুষ।অনেকে আবার বলছেন এই নিয়ম আমরা মানতে পারবো না গরিব মানুষকে মেরে ফেলা নিয়ম হঠাতে হবে। না হলে তারা আন্দোলনে নামবেন।