অবতক খবর,২১ মার্চঃ ৬০ টিরও বেশি পুরসভার নাম ইডি পেয়েছে। ৫০০০ এরও বেশি বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে। ৫০০০ বেআইনি নিয়োগ এর মধ্যে শিক্ষক থেকে শ্রমিকদেরও বেআইনি ভাবে টাকা দিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। অয়ন শীল এতটাই প্রভাবশালী যে তিনি শুধু পুরসভার ওএমআর শিট তৈরি করা নয় পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল। অয়ন শীল ৫০ কোটি টাকার বেশি তুলেছিল চাকরি প্রার্থীদের থেকে। ইডি যখন প্রথম তদন্ত করতে নেমেছিল তখন ভাবা হয়েছিল শুধু মাত্র এসএসসি,টেট নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে রাজ্যের প্রতিটি দপ্তরে দুর্নীতি হয়েছে। বলা যেতে পারে, মাথা থেকে পা পর্যন্ত দুর্নীতি হয়েছে।

ইডির তরফে বিচারককে বলা হয়,’কেস ডায়রীতে সমস্ত তথ্য প্রমাণ রয়েছে, একবার দেখে নিন সেটা ওপেন কোর্টে বলা যাবে না। কেস ডায়রী দেখলে আপনি সিউরে উঠবেন।’

ইডি যখন কুন্তল ঘোষের বয়ানের ভিত্তিতে সান্তনুকে গ্রেপ্তার করে,সেই সময় শান্তনুর ২ টি আই ফোনের হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাটে সান্তনুর সঙ্গে অয়ন শীলের চ্যাটিং পেয়েছে। সেইখান থেকেই প্রথম অয়ন শিলের ও তার কোম্পানি abs infozon কোম্পানির সূত্র পাওয়া যায় ।

ইডি বলেছিল,’সোনার খনি রয়েছে সান্তনুর আই ফোনে, এর থেকে শুধু মাত্র কিছু শতাংশ বেরিয়েছে। আজ আমরা বুঝতে পারছি কোনো সোনার খনি বলেছিলাম । বহু তথ্য ও রহস্য এখনও বার করতে হবে। তার জন্য অয়ন শীল এর ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের আবেদন করা হয় । আমরা গোল্ড মাইনে প্রবেশ করেছি জানি না কত পরিমাণ গোল্ড রয়েছে।এই গ্রেপ্তারির পর যে পরিমান টাকার হদিশ পাওয়া যাচ্ছে তাতে আমরা স্তম্ভিত।’

এই ১৪ দিনে অয়নের সঙ্গে বহু লোকের মুখোমুখী জেরা করতে চায় ইডি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,শুধু পৌরসভাই নয়,বহু নেতার আত্মীয় যারা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছে,সে নিয়েও তদন্ত হবে। ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র, তিনি কাঁচরাপাড়া, হালিশহর এবং নৈহাটি,এই তিনটি পৌরসভার তদন্তের জন্য উপর মহলের নেতৃত্বের সাথে যোগাযোগ করেছেন বলে সূত্র মারফত খবর।

বিরোধীদের বক্তব্য যে এমনও ঘটেছে যে,এই নেতা-কাউন্সিলরদের আত্মীয় দিয়েছিলেন নির্দিষ্ট কোন এক পদের জন্য পরীক্ষা,আর চাকরি পেয়েছে তার থেকেও উঁচু পদে। বয়স কমিয়েও চাকরিতে ঢুকেছেন অনেকে। এমন সব দুর্নীতি ঘটেছে কাঁচরাপাড়া পৌরসভায়।

আর হালিশহর পৌরসভার দুর্নীতি নিয়ে তো আগেই মুখ খুলেছিলেন ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় দাস। কিন্তু মুখ খুলেও কিছু হলো না,সব সেটিং হয়ে গেল।