আজ বিশ্ব অরণ্য দিবসঃঅবতকের বিশেষ প্রতিবেদন

অরণ্য সংবাদ
তমাল সাহা

অমাবস্যার আঁধারে গাছ হয়ে ওঠে অশরীরী
তমিস্রা লেগে থাকে তার গায়ে। আমি গাছেদের কাছে যাই, ছুঁয়ে দেখি তাকে
গাছ দাঁড়িয়ে থাকে আমার জন্য নিঃশব্দ পায়ে।

জ্যোৎস্নার রমণে মেতে ওঠে কি অরণ্য? গাছের ফাঁকে দেখা যায় চাঁদ তখন তোমার অসুখ খুব, ছুঁতে চাও আমার হাত।

হেমন্তের অরণ্যে ঝরে পড়ে পাতা। মর্মর ধ্বনি শুকনো পাতায়। আদরের গন্ধ লেগে থাকে ঠোঁটের উপত্যকায়।

বিস্তীর্ণ মালভূমি গিয়েছে ভেসে রক্তিম আভাসে অশোক পলাশ দাঁড়িয়েছে কৃষ্ণচূঁড়া রাধাচূঁড়ার পাশে। তুমি এসে মুখের দিকে তাকাও অনন্য আবেশে।

এইসব আরণ্যক বৃক্ষসমূহের দিকে তাকাও। দেখো নারীর মতো তারা দীর্ঘ ছড়িয়েছে বাহুলতা। কোনো কাণ্ডে তুমি খুঁজে পাবে নারীর সুডোল স্তন। কোথাও বা ফুলেল পাঁপড়ি প্রিয়তমার নরম ওষ্ঠের মতোন।
কি করে শরীরে তাহার করাত কুঠার চালাও
দুহাতে রক্ত মাখো, রক্ত ঝরাও!

এইসব দীর্ঘায়ত গাছ, গাছেদের পাতায় সূর্যের অমল রোদ, বৃক্ষদের ধারাস্নান, গাছের মাথায় সূর্যাস্তের রঙিন খেলা
জীবন জুড়ে দৃশ্যমান সারাবেলা।

প্রকৃতির সব জানে প্রিয়তমা বনানী
প্রণিপাত তার পায়ের পাতায়, আমি আজন্ম ঋণী।