অবতক খবর: মাত্র কয়েক দিনে বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি কমেছে ১৬ ডলার। তা সত্ত্বেও প্রায় এক বছর ধরে পেট্রোল, ডিজেলের দাম উর্ধ্বমুখী।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র ব্যাঙ্কিং সঙ্কট। ফলে অপরিশোধিত তেলের দাম দ্রুত কমছে। গোটা ইউরোপেই এক অবস্থা।বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেলের দামে পতনের পরেও কমেনি।

পেট্রোল ডিজেলের দাম ঠিক করে সরকারি তেল বিপণন সংস্থাগুলি। প্রতিদিন দাম নির্ধারণ করা হয়।বিশ্বে অপরিশোধিত তেলের দাম যখন বেশি ছিল তখন মোটা টাকা লোকসান হয়েছিল তেল কোম্পানিগুলোর। এখন সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছে তারা। একাধিক রিপোর্টও এই কথাই বলছে, ‘গ্রাহকদের সুবিধা দেওয়ার পরিবর্তে তেল কোম্পানিগুলো লোকসান পুষিয়ে নিচ্ছে’।

বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেলের দাম বেশি থাকার সময় পেট্রোল, ডিজেলের দামে কোনও পরিবর্তন করেনি তেল সংস্থাগুলো।ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (বিপিসিএল) এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের (এইচপিসিএল) মতো রাষ্ট্রচালিত ওএমসিগুলি বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েছিল।

২০২২ সালের জুন পর্যন্ত পেট্রোল, ডিজেলের দাম হু হু করে বাড়ে। তারপর থেকে আর দাম বাড়ানো হয়নি। দাম কমেওনি, বরং অপরিবর্তিত থেকেছে।এর মধ্যে রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কিনেছে ভারত। অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে। কিন্তু দেশে পেট্রোল ডিজেলের দামে কোনও পরিবর্তন হয়নি। এই মুহূর্তে আমেরিকার ব্যাঙ্কিং সঙ্কটের কারণে বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেলের দাম ১৫ মাসের সর্বনিম্নে পৌঁছেছে।

এই ৩টি ওএমসি দেশের জ্বালানি সরবরাহের প্রায় ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। বিশ্ব জুড়ে অপরিশোধিত তেলের দাম কমলেও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সঙ্কট কাটেনি, বরং অস্থিরতা বেড়েছে। তেল সংস্থাগুলি দামের এই পতন বজায় থাকবে কি না তা নিয়ে নিশ্চিত নয়। ফলে তারা আগের লোকসান পুষিয়ে নিতে দাম একই রেখেছে।