এই রাতে আমিও কি আরেক পিতা তাই!
পিণ্ডদান
কার মুখে পিণ্ডদান কর হে পিতা?
চোখ-নদী কত বড়, ধরে এতো অশ্রুজল!
পুত্র কাহাকে বলে?
পূতিগন্ধময় অবস্থা থেকে যে ত্রাণ করে সেই কি পুত্র অথবা নিজেই পরিত্রাণ চায় তাকেই কি পুত্র বলে?
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আমি অন্য এক পিতা।
কর্ম করে যাও ফলের চিন্তা করো পরে–
এসবই লেখে শ্রীকৃষ্ণের গীতা।
জলচৌকির উপর মৃত পুত্রের ছবি।
ছবিতে রজনীগন্ধার মালা
সামনের থালায় রাখা আছে আপেল মাখা সন্দেশ
পুত্র ভালোবাসতো বুঝি!
মুণ্ডিত মস্তক দেহে শুদ্ধ শ্বেতবস্ত্র জড়িয়ে পুত্রের শ্রাদ্ধকার্যে নিরত পিতা।
বলো হে প্রতিবেশী সকল! এ দৃশ্য দেখা যায়?
ধূপগুলিও শোকে নীরবে পুড়ে যায়।
কড়া ঘুমের ওষুধ খেয়ে অগোছালো খাটের উপরে অসাড় অঘোরে ঘুমিয়ে আছে মাতা।
কোথায় অঘোর ঘুম?
মাঝে মাঝে আর্তনাদ– স্বপ্নদীপ! স্বপ্নদীপ! বাবা! বাছা! গেলি কোথা?
পুত্র হয়ে গিয়েছে খুন।
গৌড়ীয় বৈষ্ণব মতে শ্রাদ্ধের আয়োজন।
স্বপ্নদীপকে ছুঁতে পারে কি ন হন্যতে
মন্দ্রিত কন্ঠে এইসব মন্ত্র উচ্চারণ?
*১৩ আগস্ট, ‘২৩ সোমবার বেলা তিনটেয় শোকাহত আমি দেখি স্বপ্নদীপের শেষ শাস্ত্রীয় কর্মকাণ্ড।