অবতক খবর,১০ সেপ্টেম্বর,মধ্যমগ্রাম: নবান্নই হচ্ছে সমস্ত দুর্নীতির এপিক সেন্টার।শনিবার মধ্যমগ্রামে এসে কটাক্ষ বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের। এই তালিকা বিজেপির কাছে নেই,এই দুর্নীতির তালিকা মানুষ আমাদের দিচ্ছে, তৃণমূল আমাদের তালিকা দিচ্ছে,এই তদন্ত আদালতের নির্দেশে হচ্ছে।মানুষ সবটাই যানে।এবার সিবিআই ইডি দপ্তরটা কলকাতায় তুলে আনাতে হবে।আরও কয়েক হাজার ইডি সিবিআই অফিসারদের প্রয়োজন আছে গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে।

কারণ গোটা পশ্চিমবঙ্গে গত ১১ বছর ধরে যে সরকারটা চলেছে সেই সরকারটা কার্যত একটা দোকানদারি করে ফেলেছে।এটা কোন রাজনৈতিক দল নয়,একটা সংগঠিত লুট কে পশ্চিমবঙ্গে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।এখানে অনুব্রত, পার্থ চ্যাটার্জি কেউ বিচ্ছিন্ন নয়। আজকেও যে খান সাহেব ধরা পরেছে সেটাও কোন বিচ্ছিন্ন নয়।সবটাই এখনে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।গ্রাম বাংলার মানুষ ভয়মুক্ত হচ্ছে,এদেরকেই দেখলে চোর চোর বলে জুতো ছুড়ে মারছে ।

পাশাপাশি নবান্ন অভিযান নিয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন বাংলার কোন আন্দোলন তো নিরামিষ হয় না,পুলিশ পুলিশের কাজ করবে পার্টি কর্মীরা তারা তাদের কাজ করবে।নবান্নই হচ্ছে সমস্ত দুর্নীতির এপিকসেন্টার, সেই জন্যই আমাদের নবান্ন অভিযান।বিজেপি নবান্ন পর্যন্ত পৌছানোর জন্যই আন্দোলনে নেমেছে,সেই কারণে মধ্যমগ্রামে আসা বলে জানালেন শমীক ভট্টাচার্য।বিজেপির নবান্ন অভিযান সফল করতে শনিবার মধ্যমগ্রামে শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে মিছিল,একাধিক বিষয় নিয়ে শাসক দলকে কটাক্ষ শমীক ভট্টাচার্যর।তিনি বলেন চোর ধরো জেল ভরো এই কথাটি বিজেপির নয়,পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এখন চাইছে,সাগর থেকে পাহাড় পর্যন্ত এই দুর্নীতি শেষ হোক,একটা দুর্নীতি মুক্ত সমাজ তারা চাইছে।যেখানে তাদের পরবর্তী প্রজন্মের জীবন যৌবনটা চুরি হবে না।আজও ১৫ কোটি টাকার বেশি টাকা উদ্ধার হয়ছে,খাটের তলা থেকে।যার বাড়ি থেকে উদ্ধার হছে সে বেশ কিছু প্রভাবশালীর বেনামে কেনা ট্র‍্যাঙ্কার এবং ট্রাক প্রোট এড়িয়ায় সিন্ডিকেটের মধ্য দিয়ে চালায়।

এতদিন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে আমরা গরু পাচার শুনলাম,কয়লা খাদান,স্টোনচিপের খাদানের অবৈধ ব্যবসা শোনা গেছে,বাগুইআটিতে অপহরণ কান্ড দেখা গেলো, এবং সর্বশেষ তৃণমূল কংগ্রেস যে উপহার দিলো এই রাজ্য কে, সেটা হচ্ছে চাইনিজ এপ্সের মধ্য দিয়ে সারা রাজ্য নয় গোট দেশকে প্রতারণা করা লুট করা এবং তরুণ প্রজন্মকে শেষ করার একটা প্রচেষ্টাও দেখা গেলো কলকাতা থেকে,যেই জায়গাকে এক মন্ত্রী বলেছিলেন মিনি পাকিস্তান। এটাকা কার যার ব্যথা লেগেছে সেই বলতে পারবে।কটাক্ষ শমীক ভট্টাচার্যর।