অবতক খবর,১৭ জুনঃ শনিবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

অভিষেকের ট্যুইট—বিজেপি তো চাপ দেবেই। সাধারণ মানুষ ভোটে অংশ নিতে পারছে না। আমাদের দায়িত্ব যথাসম্ভব চাপ দিয়ে মানুষকে ভোটে অংশ নেওয়ানো। এমন লোককে কমিশনার করেছেন, তাকে চাপ দিয়েও কাজ হয়না। চোখের সামনে খুন হয়ে গেছে। উনি পুলিসের রিপোর্ট দেখে বলে দিচ্ছেন কিছু হয়নি। এরকম ধৃতরাষ্ট্র হয়ে বসে থাকলে, কমিশনে কে ভরসা রাখবে?

বাহিনীর বিরোধিতায় শীর্ষ আদালতে কমিশন ও রাজ্য-

যদি সত্যিই যান, তাহলে প্রমাণ হবে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য আলাদা কিছু না। পার্টি যা চাইছে, মুখ্যমন্ত্রী সেটা বলে দিচ্ছেন। রাজীব সিনহা সেটাই করছেন। তাহলে আমরা ধরে নেব পশ্চিমবঙ্গে শান্তিপূর্ণ ভোট তিনি চাইছেন না। ওনার মেরুদণ্ড নেই। উনি মমতা ব্যানার্জি বা তার সরকার এবং পার্টির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছেন। মনোনয়নে ৫ থেকে ৭ জন খুন। তারপরও যদি সেন্ট্রাল ফোর্স না আসে, তাহলে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে বেরোবে না। আরো খুন হবে। ফোর্স না এলে ভাঙড়, বেলদা, নওদার মতো জায়গা ঠান্ডা হবে না।

২০১৩-তে বাহিনী এনেই ৩৯ জনের মৃত্যু-

ওনার পুলিস সেবার সেন্ট্রাল ফোর্স কে কাজ করতে দেয়নি। কোর্টের তরফে সেন্ট্রাল ফোর্স কে কাজ করাতে হবে। মণিপুরে সুপ্রিম কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। ওখানে ভোট হয়নি। এখানে ভোটের সময় যদি এতো খুন হয়, আদিবাসীরা বিক্ষোভ দেখায়, সেটা যদি হিংসাশ্রয়ী হয়ে যায়, তাহলে মমতা ব্যানার্জি দিনের বেলায় অন্ধকার দেখবেন।

দেবাংশুর ফেসবুক পোস্ট, অভিষেকের রি ট্যুইট—

নওশাদ কি বিজেপির দালাল? ভাঙড়ের ঘটনায় বিজেপির হাত? ভাঙড়ে বিজেপি মনোনয়ন দিতেই পারিনি। আমাদের প্রার্থীরা ঢুকতেই পারেনি। বসিরহাটে কোর্টের নির্দেশে ঢুকেছি। নওশাদ সিদ্দিকি প্রকাশ্যে কংগ্রেস আর সিপিএমের সঙ্গেই আছেন। ব্রিগেড থেকে অন্যান্য কর্মসূচি একসঙ্গেই করছেন। বিজেপির প্রয়োজন নেই নওশাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার। তবে হ্যা। বিরোধি দলের ওপর অত্যাচার হলে বিজেপি পাশে দাঁড়াবে। আগেও করেছে। আগামি দিনেও করবে।

নিত্যানন্দের সঙ্গে নওসাদ সিদ্দিকীর চ্যাট প্রকাশ্যে আনলেন দেবাংশু-

আমি জানি না কি চ্যাট। উনি স্বরাষ্ট্র দফতরের মন্ত্রী। চ্যাট কোনো অপরাধ নয়। আপনারা সবার সঙ্গে গল্প করছেন, চ্যাট করছেন। খাচ্ছেন, দাচ্চেন ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আপনারা কার সঙ্গে কতক্ষণ চ্যাট করেন, আমরা জানি। এটা বলা যায়না, একজন মন্ত্রীর সঙ্গে কেন বা কতক্ষণ কথা বলেছেন।

কুনালের ট্যুইট—

নওশাদের মাধ্যমে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখত সিপিএম?

কে কার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করল? যাদের জন্মলগ্ন থেকেই বিশ্বাসঘাতকতা, যাদের রক্তে বিশ্বাসঘাতকতা, তারা অন্যের দিকে আঙ্গুল তোলে কিভাবে?

রাজ্যপাল না হরিদাস পাল: মদন মিত্র—-

কার কথা বললেন? অন্য কারুর কথা বলুন। সকাল সকাল এসব নাম নেবেন না।

পঞ্চায়েতে তৃণমূল না জিতলে লক্ষী ভাণ্ডার কে দেবে: মমতা—

এগুলো ভোট কেনার প্রকল্প। টাকা সাইকেল দিয়েছি। ভোট দিন। উনি প্রকাশ্যে বলে ফেলেছেন। উপায় নেই বলে। পঞ্চায়েত হেরে গেলে লক্ষী ভাণ্ডার বন্ধ হবে কেন? টাকা তো কেন্দ্রের। ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ হতে হাহাকার পরে গেছে কেন? মোদির টাকায় দিদি ফুটানি মারছেন।

লোডশেডিং নিয়ে তিতিবিরক্ত মানুষ। দমদমে ভাঙচুর সিইএসসির গাড়ি—-

তৃণমূল কংগ্রেসের আরেকটা মিথ্যা ধরা পরে গেল। ওরা বারবার বলে পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুত উদ্বৃত্ত। এবার ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পরেছে। জেলা ছেড়ে দিন, কলকাতার বুকে লোডশেডিং চলছে। মানুষ রাতে ঘুমাতে পারেনা। পশ্চিমবঙ্গকে রাস্তায় বসিয়ে দিয়েছেন মমতা।

রাজ্যপালের সফরে বোমা উদ্ধার—-

আমরা যেমন আম কুড়াতাম, তেমন রাজ্যপালের দেহরক্ষী ভাঙড়ে বোমা কুড়াচ্ছেন। তারপরেও পুলিস বলছে খুন হয়নি। সব শান্ত। কমিশন সেটা মেনেও নিচ্ছে! ভগবান ভরসা। এই নির্বাচন কমিশনকে কে ভরসা করবে?