অবতক খবর , সংবাদদাতা ::  লকডাউনে স্কুল বন্ধ। তবে ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিল যাতে চালু থাকে তার বিকল্প ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রতিটি স্কুলে স্কুলে প্রথম দফায় দুকেজি করে চাল আলু দেওয়া হয়েছিল। এবার দ্বিতীয় দফায় মিড ডে মিলের বরাদ্দ তিন কেজি করে চাল এবং আলু। স্কুল গুলিতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেল কোথাও কোথাও ছাত্রছাত্রীরা চাল নিতে ভীড় করছে। আবার কোথাও দেখা গেল ছাত্রছাত্রীদেরকে গেটেই আটকে দেওয়া হয়েছে এবং কেবল মাত্র অভিভাবকদেরকেই মিড ডে মিলের চাল আলু নিতে দেওয়া হয়েছে।

শীতলকুচি ব্লকের দুটি হাই স্কুলে গিয়ে দেখা গেল চালু আলু বিতরণ হচ্ছে। অভিভাবকদেরকেই সেগুলি দেওয়া হচ্ছে লকডাউনের নিয়ম মেনেই। শীতলকুচি হাই স্কুলে দেখা গেল সেখানে ওজনের উপর গুরুত্ব নেই। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা চাল প্যাকেট করছে একটা কৌটোর আন্দাজে, আলু প্যাকেট করছে একটি স্টীলের গামলা দিয়ে। যেখানে প্রায় এগারো শত ছাত্রছাত্রীকে এইভাবে চাল আলু দেওয়া হচ্ছে । ওজনে কার কপালে কি যে যাবে কে জানে ! স্কুলের ছাত্রছাত্রীর হিসেবটা শুনা গেল শীতলকুচি হাই স্কুলের হেড মাষ্টার শ্যামল মিশ্রের মুখেই।

অন্য দিকে শীতলকুচি গোপীনাথ হাই স্কুলের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা প্যাকেট করছেন ডিজিটাল ওয়েট মিশিনে। এখানেও প্রায় এগারো শ ছাত্রছাত্রী। হাই স্কুল গুলি ছাড়াও প্রাইমারী স্কুল গুলোতেও দেওয়া হয়েছে চাল আলু। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেওয়া এই মিড ডে মিল এর চাল আলু পেয়ে সকল ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকগণ ভীষণভাবে খুশি ।