এখন রাত সাড়ে দশটা। শেষ রাতলেখা।
সেই ষাটের দশকে বাপী লাহিড়ির বাবা গায়ক সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক অপরেশ লাহিড়ি ও মা গায়িকা বাঁশরি লাহিড়ি ওয়ার্কশপ রোডে কুঁজো নারায়ণ পালিতের বাড়িতে কিছুদিন ভাড়া ছিলেন। এই শহরের পুরানো মানুষ শক্তিপ্রসাদ দে আমাদের গল্পচ্ছলে একথা বলেছিলেন। শহরের লেখক জগদীশ মোদকও সেই কথাই বলেছিলেন– আমাকে ও আমার বন্ধু মণি ভট্টাচার্যকে। তাঁদেরই সন্তান বাপী লাহিড়ি আজ চলে গেলেন।

দেবলোকে জলসা
তমাল সাহা

ওরা এসে গেছেন!
ইন্দ্রসভায় জানালেন সঞ্চালক।
আসনে দেব-দেবনারীগণ, চতুর্দিকে আলোর ঝলক।

দেবরাজ বলেন,
তাহলে আবার কিন্তু কিন্তু করছো কেন?
সঞ্চালক বলেন,
আমার মনে হচ্ছে একটু সুর তাল কেটে যাবে যেন!
ধ্রুপদী শিল্পী লতাজি এসে গেছেন,
এসে গেছেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখার্জী।
ইন্দ্র বলেন,
তোমার আর কি আর্জি?
ঘোষক বলেন,
জলসায় একটু অন্যমাত্রা যোগ হলে ভালো হতো।
তাহলে আসরটা বেশ জমে উঠতো!
আমি বলছি, একটু করা যায় কি অপেক্ষা?
আমার কাছে যা সংবাদ আছে,
হতে পারে শেষরক্ষা।
যাক,একটু দেরি হলেও এসে গেছেন …

ইন্দ্র বলে ওঠেন, কে? কে?
ওই যে আসছেন ডিস্কো ড্যান্সার বাপ্পি দা!
আবহে বেজে উঠলো কনসার্ট।
ধীরে ধীরে উঠে গেল মঞ্চের পর্দা।
সুরের মূর্চ্ছনায় সে কী জলসা!
লতা সন্ধ্যা বাপ্পি নাইট– জমজমাট
মেতে উঠলো দেবলোক।
মর্ত্য থেকে ভেসে এলো ধ্বনি—
ইহলোক দখল করেছে স্বর্গলোক
জয় হোক! জয় হোক!