অবতক খবর: দলের রাজ্য সভাপতির পদ আগেই খুয়েছিলেন। এবার কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতির পদটাও খোয়াতে হল দিলীপ ঘোষকে। সুযোগ বুঝে দিলীপের কাঁটা ঘায়ে খানিক নুনের ছিটে দিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র বিস্ফোরক টুইট,”সর্বভারতীয় বিজেপি আসলে বাঙালিদের ঘৃণা করে। বাঙালিরা এই গদ্দার পার্টির কাছে মূল্যহীন। এখন শুধুমাত্র একটা জোকার বাংলায় বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করেন। সেটা যে কে আশা করি সবাই আন্দাজ করতে পারবেন।”

দিলীপ মন্ত্রিত্ব হারানোর পরই তাঁকে নিশানা করে বাবুল বলছেন,”বাংলা বিজেপির মুখ বন্ধ করে দেওয়া হল। এবার উনি নিজের ওষুধের স্বাদ বুঝবেন। এত বছর দল করার পর ঝুনঝুনি পেলেন। এবার উনি নিশ্চয়ই বুঝবেন, জেতা সাংসদ আসন মুখের ওপর কেন ছুঁড়ে দিয়ে এসেছিলাম।”
বাবুল একা নন, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে কটাক্ষের তিরে বিঁধেছেন।

কুনালের বক্তব্য,” দিলীপ ঘোষের নাম সহ-সভাপতি পদ থেকে সরে গেল। অনেকে বলেছেন ললিপপের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার পদ কয়েক মাসের জন্য শান্ত্বনা পুরষ্কার পেতে পারেন। এরা মিউজিক্যাল চেয়ারে থাকেন। বেশি অপমানিত হলে, দুয়ারে সরকারে আসার কথা ভেবে দেখতে পারেন দিলীপ ঘোষ। তার বাড়ির লোকেদের মতো। যারা যারা নানা সমস্যায় থাকে, তাদের জন্য সরকারের নানা স্কিম থাকে। আগেও উত্তর দিনাজপুরের এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বাদ দিয়েছিল। আমরা বলছি জীবনের সমস্যা থাকলে, দুয়ারে সরকারের স্কিম ভেবে দেখতে পারেন।”

দিলীপ নিজে অবশ্য পদ হারানোটাকে ধাক্কাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদের দাবি, যারা লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন তাঁদের দলীয় পদ থেকে মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। মজার কথা হল, তাঁর দলেরই সতীর্থ তথা কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলা থেকে ঠাঁই পাওয়া একমাত্র সদস্য অনুপম হাজরা আবার সেই তত্ত্ব মানছেন না। তিনি বলছেন,”বিজেপির সংবিধানে কোথাও লেখা নেই যে কেন্দ্রীয় পদাধিকারীরা নির্বাচনে লড়তে পারবেন না। অনেকেই আছেন যারা কেন্দ্রীয় পদাধিকারী থাকাকালীন সাংসদ হয়েছেন।” সব মিলিয়ে দিলীপের দলীয় পদ খোয়ানোর ইস্যু রাজনৈতিক রঙ চড়তে শুরু করেছে।