দ্বিশত জন্মবর্ষে তোমাকে প্রণাম–
ফিওদর মিখাইলোভিচ দস্তয়েভ্স্কি🙏

জুয়াড়ির ঠেক
তমাল সাহা

জুয়া তো খেলেছিলে তুমি দিনমান
সে তো সকলেই জানে।
আমি জানিনা কতবার হেরেছ বা জিতেছ
কোন ঠেকে কোনখানে?

দারিদ্র্য ঘাড় ধরে নামিয়েছে
তোমাকে অদ্ভুত উত্তরণে অর্থ উপার্জনে।
সে এক বেহিসেবি চেষ্টা
পেটে খিদে ছিল, শুষ্ক কন্ঠে ছিল তেষ্টা।
দেখেছ কত রকম জুয়াড়ি,
কত রকম তার ধরন
জীবন বাস্তবতার পর্যবেক্ষণ
সাহিত্যের কথাকার তুমি
লিখলে ‘দ্য গ্যাম্বলার’–
কী আশ্চর্য শৈল্পিক লিখন!

তবে শাসক তোমাকে যতই দিক নির্বাসনে
দুঃখ-যন্ত্রণায় পীড়িত করুক
মার দিয়া কেল্লা তুমি
সাহিত্যের জুয়ার অঙ্গনে।

রাত্রিগুলি তোমার চোখে সাদা
ভূতলবাসীর আত্মকথা
পৌঁছেছিল তোমার কানে।
অপরাধ ও শাস্তি পাশাপাশি হাঁটে
কে কি অপরাধ করেছিল কেইবা পেয়েছিল শাস্তি
সবাই জেনে গেছে সেসব
তোমার সাহিত্যের অমোঘ আকর্ষণে।
শান্তি বলে তুমি ছিলে সরব
সোচ্চার করেছো মানুষের কন্ঠ
যুদ্ধবিরোধী ময়দানে।

জুয়াড়ির কি ভালোবাসা নেই!
তোমাকেও তারা ভালবেসেছিল
তুমিও তো ভালোবাসায় ছিলে উন্মাদ
কতবার ফায়ারিং স্কোয়াড–
পতন অবশ্যম্ভাবী হলেও
পাশ কাটিয়ে চলে গেছো মৃত্যুখাদ।

তুমি আমায় বলেছিলে,
রাত্রিগুলি যদি গভীরতার দিকে যায়
নক্ষত্রগুলি জ্বলজ্বল চোখে চেয়ে থাকে
বিনিদ্র পাহারায়।

তোমার কাছে শিখি, তাইহ–
আমিও পৃথিবীর ঘনতম অন্ধকারে
আকাশের দিকে তাকাই।
উত্তরের ধ্রুব নক্ষত্র বলে,
ঠিক আছে তো দিক?
দস্তয়েভ্স্কির কাছে তোর নিয়মিত শেখা চাই।