অবতক খবর,১১ নভেম্বর: কাঁচরাপাড়া ১ নং ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর ঝুম্পা সিং অধিকারী। তিনি শুধু ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরই নন, তিনি ওই অঞ্চলের মেয়ে। সুখে দুঃখে সবসময়ই তাঁকে পাশে পান মানুষ।

ছট্ পুজো শেষ হয়ে শুরু হয়েছে জগদ্ধাত্রী পুজো। আর ওই ওয়ার্ডে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে আজ উপস্থিত হয়েছিলেন বীজপুরের নবনির্বাচিত বিধায়ক সুবোধ অধিকারী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাঁচরাপাড়া পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক সুদামা রায়, কাঁচরাপাড়া টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি খোকন তালুকদার, শহরের বরিষ্ঠ তৃণমূল নেতা দিলীপ ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। একে একে সকলকে সেখানে সংবর্ধনা জানানো হয়।

ঝুম্পা সিং-এর পিতার স্বর্গীয় বলিদান সিং ছিলেন একজন মনের মানুষ তথা সমাজসেবী। আর ঝুম্পা সিং নিজের পিতার দেখানো পথই অনুসরণ করে মানুষের সেবায় নিয়োজিত হয়েছেন।

সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়কের মুখে উঠে আসে স্বর্গীয় বলিরাম সিং-এর কথা।

বিধায়ক বলেন,”স্বর্গের চেয়েও ভালো যদি কোন স্থান হয় কিংবা যদি অন্য কোন পৃথিবী থাকে তবে তিনি যেন সেখানে স্থান পান।”

স্বর্গীয় বলিরাম সিং-এর কথা বলতে গিয়ে তাঁর গলা ধরে আসে।
তিনি বলেন,”স্বর্গীয় বলিরাম সিং নিজের জীবদ্দশায় সর্বদা মানুষের সেবা করে গেছেন। তাঁকে এবং তার কর্মকাণ্ডকে আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না। তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা। তুমি যেখানেই থাকুন তাঁর যেন শান্তি পায়।”

অন্যদিকে নিজের পিতা সম্পর্কে ঝুম্পা সিং অধিকারী বলেন,”নিজের পিতার আদর্শকে মাথায় রেখেই আমরা এগিয়ে চলেছি। তাঁর আশির্বাদ সবসময় আমাদের সাথে আছে। সেই কারণেই আমরা মানুষের এত ভালবাসা পাচ্ছি। আমি এই ওয়ার্ডের মেয়ে। ওয়ার্ডের প্রতিটি মানুষ আমার পরিবারের সদস্য। সে কারণে প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে আমি মানুষের সুবিধা অসুবিধা দেখি। সর্বোপরি আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে হেঁটে চলেছি। আমার অভিভাবক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়,পার্থ ভৌমিক এবং বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী। মাঝে হয় তো আমি রাজনীতিতে কোনঠাসা হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু আমি হার মানতে শিখিনি। আর এই লড়াইয়ে সবসময় আমার পাশে ছিলেন আমার দুই দাদা সুবোধ অধিকারী এবং কমল অধিকারী। তাদের সহযোগিতা ছাড়া আমি এই জায়গায় পৌঁছতে পারতাম না।”

অন্যদিকে এলাকাবাসী তথা তৃণমূল কর্মীরা ঝুম্পা সিং অধিকারী সম্পর্কে বলেন, তাঁর মত মানুষ আমরা খুবই কম দেখেছি। তিনি এই ওয়ার্ডে আমাদের সবরকম সুবিধা অসুবিধা দেখেন। তিনি আমাদের ঘরের মেয়ে।