অবতক খবর,১৮ এপ্রিল: কাঁচরাপাড়া পৌরসভার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কমল অধিকারী। শহরের ব্যবসায়ীরা তাঁর চেয়ারম্যান হওয়াতে অত্যন্ত খুশি। ব্যবসায়ীরা তাঁকে আর হাতছাড়া করতে চাইছেন না। একজন শিক্ষিত যুব নেতা চেয়ারম্যান পদে বসে প্রমাণ করে দিলেন যে, তিনি প্রতিটি মানুষকে নিয়ে চলতে পারেন এবং সেই সাহসও রাখেন।

প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে তিনি সময়মতো পৌরসভায় আসছেন এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত পৌরসভায় কাজ করছেন। এতদিন কাঁচরাপাড়া পৌরসভার কর্মীরা যে যার মত আসতেন,কাজ করতেন এবং ইচ্ছানুযায়ী চলে যেতেন। কিন্তু এখন সবকিছুই একটা নিয়মের মধ্যে চলে এসেছে। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু পৌর কর্মীর বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিদিনই অভিযোগ করতেন সাধারণ মানুষ। সেই অভিযোগে আমোল দিতেন না প্রাক্তন পৌর প্রধান সুদামা রায়। কিন্তু কমল অধিকারীর কাছে যে কোনো রকম অভিযোগ আসলেই তিনি সাথে সাথে স্টেপ নিচ্ছেন। তাঁর কাছে কারোর জন্য কোন ছাড় নেই। থানা প্রশাসনের সহযোগিতায় সাথেই সাথেই তিনি স্টেপ নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে দুবার তিনি কাঁচরাপাড়া ব্যবসায়ী ইউনিটের সাথে একটি জরুরী বৈঠক করেন এবং আরেকটি বৈঠক করেন শহরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে। তিনি পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন, যা হবার হয়েছে‌। কিন্তু এখন যেন মানুষ এটা না বলেন যে, পৌরসভায় কোনো সময় কোনো কাজ হচ্ছে না। যা সমস্যা হবে সবকিছু পৌরসভায় এসে জানাবেন। এখানে আমাকে সব সময় পাবেন।

এইসব দেখে ব্যবসায়ীরা জানান,প্রাক্তণ চেয়ারম্যানও যদি এইভাবে সব সমস্যার সমাধান করতেন এবং ভালো ব্যবহার করতেন,তবে এতদিন ধরে আমাদের এত সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো না। চেয়ারম্যান কমল অধিকারী যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, যেভাবে মানুষের সমস্যার সমাধান করছেন, তাতে আমরা অত্যন্ত খুশি।

কারণ আজ পর্যন্ত আমাদের কথা কেউ শোনেনি, আমাদের কোন কথার আমোল কেউ দেয়নি। কারো সাথে দেখা করতে গেলে অথবা কোন সার্টিফিকেট নিতে গেলে নেতাদের বাড়ির সামনে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো ।কিন্তু এই চেয়ারম্যান নিজে মানুষের কাছে যাচ্ছেন, তাদের সমস্যা শুনেছেন এবং সমাধানের চেষ্টা করছেন।

 

অন্যদিকে কাঁচরাপাড়া পৌরসভার রূপরেখাই এখন পাল্টে গেছে। পৌর কর্মীরা সকলেই এখন কাজে ব্যস্ত। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তাদের সরিয়ে অন্য দপ্তরে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মানুষকে ভালো পরিষেবা দিতে কিছু রদবদল করেছেন তিনি। পৌরসভায় মিউটেশন নিয়ে অনেক সমস্যা হতো আগে এবং কিছু দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু এখন ওই দপ্তরকে দুর্নীতিমুক্ত করেছেন চেয়ারম্যান। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ছিল বদ্রী নারায়ণ সিংয়ের বিরুদ্ধে, তাঁকেও তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানের এইরকম কড়া পদক্ষেপের জন্য খুশি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।