অবতক খবর,৩১ আগস্ট: ২০২০ সালে ১০ই জুলাই ইছাপুরের দ্বাদশ শ্রেনির ছাত্র শুভজিত শারিরীক অসুস্থতা নিয়ে কামারহাটিত ESI হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলো।

কিন্তু কোভিড পরিকাঠামো না থাকায় তাকে ফেরত পাঠায় বেলঘড়িয়ায় মিডল্যান্ড নারসিং হোমে স্থানান্তর করে ESI এর চুক্তি অনুযায়ী।

এরপরে মিডল্যান্ড নারসিং হোম দীর্ঘক্ষণ দাড়করিয়ে রাখে অসুস্থ ছাত্র শুভজিত চাটার্জিকে।
এরপরে শুভজিতের মা এবং বাবা বেলঘড়িয়া থানায় ফোন করেন। তারপর রক্তের স্যাম্পল টেস্ট করে বলে কোভিড পজেটিভ!! এরপরে শুভজিতকে ভরতি না নিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।শুভজিত এর মা-বাবা অসুস্থ শুভজিতকে আবার ESIতে যান। ESI হাসপাতাল তাকে সাগরদত্ত হাসপাতালে স্থানান্তর করে।

এরপরে সাগরদত্ত হাসপাতালে বেড নেই বলে ফিরিয়ে দেয়।অসহায় শুভজিতের মা তখন কলকাতা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। সেখানে বেড না পেয়ে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকে অসুস্থ শুভজিতকে নিয়ে। এরপরে শুভজিতের মা চিকিৎসার জন্য আত্মহত্যার হুমকি দিলে নড়েচড়ে বসে মেডিকেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিকেল চারটে নাগাদ মেডিকেল হাসপাতাল শুভজিতকে চিকিৎসার জন্য ভরতি নেয়।

সেদিনই রাত ৯:৪৫ মিনিটে শুভজিত মারা যায়।
এরপরে হাইকোর্টের দারস্থ হয় শুভজিতছ পরিবার।হাইকোর্ট রায় দেয় মৃত শুভজিত এর ভিসেরা টেস্ট,RTPCR টেস্ট,পোস্টমর্টেম এর নির্দেশ দেয়। সেই মোতাবেক সেইগুলি টেস্ট হয়। সেই RTPCR রিপোর্ট আজ বেলঘড়িয়া থানা বাড়িতে পাঠায়।
যে কোভিড রিপোর্ট এর জন্য কোন চিকিৎসা হলো না শুভজিত এর।

আর সেই কোভিড রিপোর্টই আজ নেগেটিভ এলো।এই রিপোর্ট আসামাত্রই আফসোস আর মানষিক যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন শুভজিতের মা আর বাবা।

মহামান্য আদালতের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলো শুভজিত এর পরিবার চারজন এর বিরুদ্ধে। বেলেঘড়িয়া থানা,মিডল্যান্ড নারসিং হোম,ESI কামারহাটিত এবং সাগরদত্ত হাস্পাতাল ও মেডিকেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে।

কিন্তু এখনো কোন বিচার না পাওয়ায় হতাশ শুভজিতের মা শ্রাবণী চ্যাটার্জি এবং বাবা বিশ্বজিত চ্যাটার্জি।