অবতক খবর,১৯ সেপ্টেম্বরঃ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে শ্রীরামপুর স্টেশনকে মহেশ মন্দিরের আদলে তৈরীর আবেদন মন্দিরের সেবাইতের। সোমবার শ্রীরামপুর মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ পুজো দিতে আসেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। জগন্নাথ দেবের গর্ব গৃহে ঢুকে হাত জোড় করে পুজো দেন মন্ত্রী। মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরিয়ে রন্ধন শালা সহ গোটা মন্দির তিনি ঘুরে দেখেন। মন্দিরের সেবাই পিয়াল অধিকারী জগন্নাথ দেবের ছবি উপহার স্বরূপ তুলে দেন মন্ত্রীর হাতে।

মন্দিরের সেবাইত পিয়াল অধিকারী বলেন, ২০১৯ সালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বপ্নের প্রকল্প করে দিয়েছেন । রন্ধন শালা প্রসাধন কেন্দ্র সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে দেখাই। তার কাছে অনুরোধ জানালাম, শ্রীরামপুর স্টেশনের যে গৌরব সেটা যেন ফিরে আসে। দক্ষিণেশ্বর স্টেশন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে তৈরি। বেলুড় মঠের স্টেশনটা বেলুড় মঠের আদলে তৈরি। শ্রীরামপুর স্টেশন যেন মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়। এটা শুধু মাহেশ বা শ্রীরামপুর বাসির নয়, সারা পশ্চিমবঙ্গবাসির গর্ব হবে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি রেলমন্ত্রী কে জানাবেন।

মাহেশের আদলে যে রেল স্টেশন তৈরি হওয়ার কথা ছিল তা বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পিয়াল বলেন, কি কারনে বন্ধ রয়েছে তা বলতে পারবো না। আমি এবং আমার বাবা ২০১১ সালে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছিলাম যাতে মাহেশের আদলে শ্রীরামপুরের রেল স্টেশন তৈরি করা যায়। যদিও সাংসদ আমাদের সঙ্গে সব সময় সাহায্য করেন। আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম এটি যেন মাহেশের মন্দিরের আদলে তৈরি হয়। পরবর্তীকালে কি হয়েছে তা বলতে পারব না কাজ স্থগিত হয়ে যায়। আমি আশা করি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দ্রুত ব্যবস্থা করবেন।

 

মাহেশের মন্দিরে পুজো দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যান কোন নগরের বিজেপি নেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্যের বাড়িতে। পুরসভা ভোটের সময় আক্রান্ত হন কৃষ্ণ ভট্টাচার্য। তাকে গুরুতর জখম করা হয় ।এদিন তাকে দেখতে জান তিনি।

কোন্নগর থেকে বেরিয়ে উত্তরপাড়া জয় কৃষ্ণ লাইব্রেরীতে আসেন মন্ত্রী। সেখানে গোটা লাইব্রেরী ঘুরে দেখেন তিনি।