অবতক খবর,১৯ সেপ্টেম্বর,মালদাঃ— গঙ্গায় তলিয়ে গেছে বসত ভিটে। তলিয়ে গেছে মন্দির। একবার নয়, গত কয়েক দশকে  কমপক্ষে পাঁচবার। ভিটে মাটি হারিয়ে বারবার হতে হয়েছে উদ্বাস্ত। এই কাহিনী গঙ্গাতীরের কোনও অন্নপূর্ণা বা পার্বতীর নয়। ভাঙনের এই বাখান স্বয়ং জগজ্জননী মা দূর্গার। মালদার মানিকচকের ষোলোমৌজার মা দূর্গার।

মালদার মানিকচক ব্লকের অধিকাংশ এলাকাই গঙ্গা ঘেঁষা। ফি বছর ভাঙনে ভিটে মাটি হারিয়ে উদ্বাস্তু হওয়াটাই যেন দস্তুর এখানকার হাজারো বাসিন্দার। তা বলে মা দূর্গাকেও হারাতে হবে বসত ভিটে? অবিশ্বাস্য ঠেকলেও ভাঙন এখানে গ্রাস করেছে খোদ বিপত্তারিণী মা’কেও। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, বঙ্গভঙ্গের বছর মানিকচকের ষোলোটি মৌজার জমিদার ভূপাল চন্দ্র রায়চৌধুরী ১৯০৫ সালে দরবারিটোলায় শুরু করেন দূর্গাপুজা।তারপর এই পূজো জমিদার গ্রামবাসীদের হাতে তুলেদেন। তারপর থেকেই এই পূজো ষোলোমৌজার সার্ব্বজনীন পূজো নামে পরিচিত।  তবে সেই উদ্যোগে জল ঢেলেছিল গঙ্গা। ভাঙনের কবলে তলিয়ে যায় দরবারিটোলার মন্দির। এরপর, কখনও বেচুটোলা, কখনও পালপাড়ার আমবাগানে, আবার কখনও হাড্ডাটোলায় অস্থায়ী মন্দিরে পুজো হয়েছে মা’য়ের।

যদিও ভাঙনে  বারবার তলিয়ে গেছে স্থায়ী অস্থায়ী সব মন্দিরই। অবশেষে  জোতপাট্টা এলাকায় নতুন  মন্দির গড়ে চার বছর ধরে চলছে মায়ের পুজো।এই পূজো উপলক্ষে চারদিন ধরে চলে মেলা।

তবে এই ঠিকানাও কতদিন স্থায়ী হবে তা নিয়ে সংশয় আছে সবার।আবারও কি মা দুর্গা হারাবে তার স্থায়ী ভিটেবাড়ি?এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে মায়ের ভক্তদের মনে।