অবতক খবর , নরেশ ভকত, বাঁকুড়া :       একই শাড়িতে পুজোর চার দিন কাটবে অবাক লাগছে তাইনা হ্যাঁ এটাই সত্যি । বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর কৃষ্ণগঞ্জের বাসিন্দা শিল্পী অমিতাভ পাল তার শিল্পীসত্তার মধ্য দিয়ে এমনই দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন । একই শাড়িতে উন্মোচিত হবে পুজোর সপ্তমী অষ্টমী নবমী ও দশমীর সৌন্দর্য । ফলে দর্শনে আসবে বৈচিত্র এবং কমবে ঘাটের খরচও । শিল্পী অমিতাভ পাল বারো হাতের এই শাড়িকে দু’টুকরো করেছেন । দুটি পটে নানা নকশা আঁকা রয়েছে । পাশাপাশি দুটি রয়েছে আঁচল আর পার নিজের ইচ্ছামত লেহেঙ্গা আবার শাড়ি যেমন খুশি ভাবে পড়া যাবে ।

অমিতাভ বাবু এর আগে অর্থাৎ গত বছর দেড় লাখ দামের বালুচুরি শাড়ি তৈরি করেছেন । তার আগে এক লাখ টাকা দামের শাড়িও তিনি তৈরি করেছেন । তবে এবার করোনা আবহে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা তটস্থ হয়ে উঠেছে । এমতাবস্থায় পুজোর উৎসাহে সাধারণ মানুষের কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে । তাই খরচের কথা মাথায় রেখে এরকম অভিনবত্ব ” বালুচুরি মেঘলা ” শাড়ি তৈরি করে ফেলেছেন তিনি । ইতিমধ্যেই বিষ্ণুপুর জুড়ে সকলের নজর কেড়েছে এই শাড়ি । এই শাড়ি পরলে নারী হয়ে উঠবে অপরূপ সৌন্দর্যের অধিকারী । এই ” বালুচুরি মেঘলা ” শাড়ির দাম রাখা হয়েছে সাত থেকে বার হাজার টাকার মধ্যে ।

শিল্পী অমিতাভ পাল বলেন , ‘ তন্তুজ ‘ এর এম ডি’র অনুপ্রেরণায় এই ” বালুচুরি মেঘলা ” শাড়ি। করোনা আবহে সকলেরই পকেটে টান পড়েছে তাই অসমীয়া এবং মেঘলার আদলে ” বালুচুরি মেঘলা ” শাড়ি তৈরি করেছি। এটা অল্প খরচে সকলেই গ্রহণ করতে পারবেন ।

বিষ্ণুপুরের এক গৃহবধূ অনন্যা গাঙ্গুলী শিল্পীর এই শিল্প সত্তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন । তিনি বলেন , এটা আমাদের কাছে গর্বের অত্যন্ত আনন্দের এই শাড়ি আমার পছন্দ হয়েছে এবং তিনি বলেন আমিতো কিনবোই অন্যদেরও কেনার আহ্বান জানান তিনি ।