অবতক খবর: তৃণমূলের শহীদ দিবস পালন ঘিরে বিস্ফোরক মন্তব্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ অধীর চৌধুরীর। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করেন অধীর। এদিন তিনি বলেন,’ একুশে জুলাই শহীদ দিবসে লুট করে পঞ্চায়েত জয় করার উচ্ছ্বাস দেখা যাবে, তাই দিদির কাছে প্রশ্ন ৯৩ সাল থেকে শহীদ দিবস পালন হয়ে আসছে তার মধ্যে তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু যেদিন যাদের জন্য শহীদ হতে হয়েছিল সেইসব পুলিশ অফিসার এবং পুলিশদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি’?

পঞ্চায়েত ভোট মিতে যাওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসায় নাম জড়িয়েছে কংগ্রেসের। এই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন,’ পঞ্চায়েত ভোটে যে দলেরই কর্মীর মৃত্যু হোক না কেন সেটা আমার কাছে দুঃখের। আমি দিদিভাইকে বলব দিদিভাই তদন্ত করুন কে মেরেছে কারা মারছে তদন্ত করুন, তদন্ত করে তাদের শাস্তি দিন’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে অধীর চৌধুরী এদিন বলেন,’ কই তা তো করছেন না, যা পারছেন সব কংগ্রেসের ঘাড়ে দোষ দিচ্ছেন। যেখানে আপনার দলের সঙ্গে নির্দলের ঝামেলা হচ্ছে সেখানেও কংগ্রেসকে তুলে আনছেন এটা কি’?

যেসব পরিবারের লোকেরা শহীদ হল যাদের জন্য শহীদ দিবস পালন করছেন সেই সব পরিবারের লোকেদের কি আর্থিক কিছু সুবিধা পেয়েছে প্রশ্ন তুললেন অধীর। অধীর বলেন, দিদি আপনার আমলে অপরাধীদের কোন শাস্তি নেই। শহীদ পরিবারের কোন আর্থিক নিরাপত্তা নেই। পঞ্চায়েত ভোটে জিতে এই শহীদ দিবসে যেমন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করবেন, কিন্তু একবারও কি ভেবেছেন যে এই পঞ্চায়েতকে কেন্দ্র করে যেসব মায়ের কোল খালি হলো সেগুলি কি ফিরিয়ে দিতে পারবেন? অধীর চৌধুরী অভিযোগের সুরে বলেন, পঞ্চায়েতে সন্ত্রাস করে জিততে গিয়ে আর কত খুন-খারাপী দেখবেন। পশ্চিমবঙ্গে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়ে গেল কে দায়ী?

এদিন অধীর বলেন, আমি বলব এর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রাজনীতির সংস্কৃতি দায়ী। এই মৃত্যুর দাম ২ লাখ টাকা আর দু লাখ টাকার বিনিময়ে কত রাজনীতির মৃত্যু ঘটবে, প্রশ্ন তুলেন অধীর।