অবতক খবর,১৫ই আগস্ট: ১৫ই আগস্ট দিনটি কাঁচরাপাড়ার পক্ষে একটি কলঙ্কজনক দিন। ‌১৯৪৭ সালের প্রথম স্বাধীনতা দিবস এখানে দাঙ্গার সূচনা ঘটে, রক্তপাতের ঘটনা ঘটে। ২০১৮ সালে এই ১৫ই আগস্টেই অবতক-এর বিতর্কিত ও খুদে সাংবাদিক রঞ্জন ভরদ্বাজকে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা গুরুতরভাবে জখম করে। সৌভাগ্যক্রমে তিনি গুরুতর আহত হলেও বেঁচে যান। জেএনএম হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা করা হয়। পরবর্তীতে এই নিয়ে পুলিশেও অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই রাজনৈতিক দুষ্কৃতীরা গ্ৰেপ্তার হয়নি।

আজকের উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল এই, সেদিনও বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব মুকুল রায়ের নেতৃত্বে মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। বহু বিজেপি কর্মী সদস্য এবং মহিলারা থানার মোড়ে জমায়েত হয়েছিলেন। কিন্তু শাসক শ্রেণীর লুম্পেনরা সেই মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং মিছিলের উপর আক্রমণ চালায় এবং অনেক গাড়ি ভাঙচুর করে। মহিলারা ভয়ে আতঙ্কে পালাতে থাকেন।সেই সময় অবতক-এর খুদে সাংবাদিক রঞ্জন ভরদ্বাজ সেই ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করছিলেন এবং লাইভ সম্প্রচার করছিলেন। দুর্বৃত্তরা তা দেখে তাঁকে ঘিরে ফেলে এবং তাঁকে গুরুতরভাবে জখম করে। এমন একটা অবস্থা দুর্বৃত্তরা তৈরি করে ফেলে যে, তিনি মাথা পর্যন্ত উঠিয়ে দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করতে পারেননি।

শেষ পর্যন্ত কোনক্রমে পুলিশের সহৃদয় কর্মী, যিনি ডিউটিতে ছিলেন,তাঁর সহযোগিতায় তাঁকে ওই উত্তেজিত দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রক্ষা করেন। এর প্রতিবাদে পরবর্তীতে বিভিন্ন সংবাদপত্রের কর্মীরা এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার সংগঠন এবং সুধী নাগরিকবৃন্দ সম্মিলিত ভাবে মিছিল করেন এবং বাগমোড়, লিচু বাগান, শ্রীলক্ষ্মী সিনেমা অঞ্চল, গান্ধীমোড়, থানামোড় অঞ্চলে বক্তব্য রাখেন।

এটি কাঁচরাপাড়ার ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক ঘটনা। সেই ঘটনার আজ তৃতীয় বছরে পদার্পণ করেছে।

অনেকেই ভেবেছিলেন এবং দুর্বৃত্তরা মনে করেছিল যে এই খুদে সাংবাদিককে যদি সরিয়ে দেওয়া যায় তাহলে এই অঞ্চলের ঘটনার যথাযথ রিপোর্ট প্রকাশিত হবে না।
অবতক যে প্রতিবাদী ভূমিকা নিয়েছে এই অঞ্চলে তা থেকে তাকে নিরস্ত করা যাবে।

উল্লেখ্য তখন এই অঞ্চলে নিউজ পোর্টাল বলতে একটিই মাত্র ইলেকট্রনিক মিডিয়া ছিল সেটি হচ্ছে অবতক। কিন্তু সমস্ত শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে অবতক চলছে এবং সেই অবতক যতই বাধা বিপত্তি আসুক ঝুঁকি নিয়ে মানুষের স্বার্থে কাজ করে যাবে। এইটাই অবতক-এর আজকে ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসে ওয়াদা, এইটাই তার শপথ। সে এই প্রতিশ্রুতি কাঁচরাপাড়াবাসীকে দিচ্ছে।