অবতক খবর: এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক–বিরোধী দু’পক্ষই রুষ্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে। ভোটের মধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি লাগে এক ভোটারের শরীরে। চাকুলিয়ায় ভোটারের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর সামনে আসতেই আলোড়ন ছড়িয়েছে। শনিবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাপড়া ও নাকাশিপাড়া ব্লকে বুথ কেন্দ্রে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই গুলি চালনা নিয়ে টুইট করল তৃণমূল কংগ্রেস। সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ করা হয়েছে ওই টুইটে।

গত রবিবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে আহত ভোটারের ঘটনাই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। আর এতেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শীতলকুচির স্মৃতি ফিরে এসেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতেই চাকুলিয়া বিধানসভার অন্তর্গত গোয়ালপুকুর থানা এলাকার এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একুশের বিধানসভার নির্বাচনে শীতলকুচির ঘটনায় তোলপাড় পরে গিয়েছিল রাজ্যজুড়ে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠল। তাই তৃণমূল কংগ্রেস সোমবার টুইট পোস্টে লিখেছে, ‘এটা এখন একেবারে পরিষ্কার যে বিজেপি বিএসএফকে লাইসেন্স দিয়েছে নিরীহ মানুষের ওপর গুলি চালাতে। যাতে ক্ষমতা দখল করা যায়।’ আজ, সোমবার গ্রামবাংলার কিছু বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে।


অন্যদিকে চাপড়া থানার হাতিশালা–১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পাড়া ও নাকাশিপাড়ার হরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে মালুমগাছায় গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী এমনটাই অভিযোগ উঠে আসছে। তবে তাতে হতাহতের কোনও খবর নেই। আর চাকুলিয়ায় যে গুলি কেন্দ্রীয় বাহিনী চালিয়েছে তাতে এক যুবক মারাত্মক জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয়রা জানিয়েছে, ওই যুবকের নাম মহম্মদ হাসিবুল। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস টুইটে লিখেছে, ‘বিএসএফ একেবারে বিজেপির ডান হাত হয়ে কাজ করেছে। আর বিএসএফের গুলিতে আমাদের কর্মী–সমর্থকরা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। হাসি বুলকে পুর্ণিয়ায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রেজান যাচ্ছে, শনিবার বিকেলে ভোট দিতে গিয়েছিলেন যুবক হাসিবুল। গোয়ালপোখর থানার অন্তর্গত ঢুমাগরের ২৫ নম্বর বুথে ভোট দিতে যান তিনি। তখন ওই বুথে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে কেন্দ্রীয় বাহিনী কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। আর সেই গুলিতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসিবুল আহত হন। হাসিবুলের কাঁধে গুলি লাগে। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস টুইটে লিখেছে, ‘অমিত শাহের নির্দেশে বিএসএফ এখন যন্ত্র হিসাবে কাজ করছে। মানুষের আওয়াজ বন্ধ করতে আর ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করতে কাজ করছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাত রক্তে রাঙা হয়ে উঠেছে মানুষকে খুন করে।’