অবতক খবর,২৭ মার্চ,সুমিত: জীবন্ত পুড়িয়ে ৮ জনকে খুন? রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের এফআইআর-এ কী জানান হয়েছে?
কখন খুন হয়েছিলেন তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ? এরপর আগুন লাগানোর ঘটনা কখন ঘটে? সেইসময় পুলিশ কোথায় ছিল? রয়েছে বিস্তারিত তথ্য।
সোমবার রাতে ঠিক কী ঘটেছিল রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে? কখন খুন হয়েছিলেন তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ? এরপর আগুন লাগানোর ঘটনা কখন ঘটে? সেইসময় পুলিশ কোথায় ছিল? কতক্ষণ পরে তারা পৌঁছেছিল ঘটনাস্থলে? সেখানে পৌঁছে পুলিশের ভূমিকা কী ছিল? রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের এই সমস্ত তথ্যই আছে সিবিআই-কে দেওয়া পুলিশের এফআইআরে। অবতক খবরের হাতে সেই এফআইআরের প্রতিলিপি।
ঠিক কী হয়েছে?

এফআইআরে উল্লেখ, রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ বোমাবাজিতে আহত হন পুলিশ জানতে পারে। ৮টা ৫০-এ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ৯টা ৩৫-এ রামপুরহাট থানার ডিউটি অফিসার বগটুইয়ে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের জানান, গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাত ১০টা ৫-এ অর্থাৎ অগ্নিসংযোগের ঘটনার আধঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। গিয়ে দেখা যায়, ৮টি বাড়ি জ্বলছে। পুলিশের তরফে দমকলকে খবর দেওয়া হয়। রাত ১০টা ২৫-এ গ্রামে আসে দমকলের ২টি ইঞ্জিন। চারজনকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আগুন নিভিয়ে রাত ২টোয় চলে যায় দমকল। আগুন নিভলেও প্রচণ্ড তাপের কারণে কোনও বাড়িতেই ঢোকেননি দমকল কর্মীরা। পরদিন সকাল ৭টা ১০-এ ফের উদ্ধারকাজ শুরু করে দমকল। একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৭টি ঝলসানো দেহ।

নমুনা সংগ্রহ করলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা
এদিকে,রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে সিবিআই। একের পর এক পুড়ে যাওয়া বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। তদন্তের মাঝেই রামপুরহাট থানায় যায় সিবিআই। সোমবার রাতে হত্যাকাণ্ডের পরে বগটুই গ্রামে গিয়ে কী কী দেখেছিলেন? পুলিশ আধিকারিকদের কাছে জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয় দমকলের আধিকারিকদের কাছ থেকে।

বগটুই গ্রাম থেকে দ্বিতীয় দফায় ফের রামপুরহাট থানায় যান সিবিআই আধিকারিকরা। বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী এবং আইজি বর্ধমান রেঞ্জ ভরতলাল মীনার সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলেন তাঁরা। কথা হয় রাজ্য সরকারের তৈরি SIT-এর অফিসারদের সঙ্গে।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ১৪৭,১৪৮,১৪৯,৩০২,৩০৭,৩২৫,৩২৬,৪২৭,৪৩৫,৪৩৬ তে মামলা দায়ের,,

সোমবার ২১.০৩.২০২২
রাত ৮:৩০
আজ থেকে CBI হেফাজতে নিল 11 জনকে রামপুরহাট বকটুই গ্রামের কাণ্ডে। এই 11 জনের মধ্যে আছে রামপুরহাট 1 নম্বর ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন।বীরভূমে যে CBI অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করেছেন সেখানে রেখে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে 6 এপ্রিল পর্যন্ত। CBI আরো জানান রাজ্য পুলিশের থানায় কিংবা রাজ্য পুলিশের কোন অফিসে রেখে তাদের জেরা করতে চাননা।CBI তাদের অস্থায়ী ক্যাম্পে এই জেরা করবেন অভিযুক্তদের একই সঙ্গে এই ঘটনায় ভয়ের চোটে বহু মহিলা আছেন যে মুখ খোলেননি দরকার পড়লে ওনাদের সাথে ও CBI প্রতিনিধি দল যোগাযোগ করবেন।
ওনাদের বয়ান রেকর্ড করবেন CBI মহিলা অফিসাররা।
বিশেষ করে মহিলাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য CBI মহিলা প্রতিনিধি দল নিয়োগ করা হয়েছে এই তদন্তে কারণে মহিলাদেরকেও CBI মহিলা অফিসাররা জেরা করবে।
শুধু তাই নয় আজকের CBI প্রতিনিধি দল বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে যাবে একটি টিম যাবে ঘটনাস্থলে বকটুই গ্রামে।
একটি টিম যাবে হসপিটালে।
একটি টিম যাবে রামপুরহাট থানায়।একটি টিম যাবে তারাপীঠ থানায়।
একটি টিম যাবে বাতাসপুর গ্রামে।
আরেকটি টিম অভিযুক্তদের জেরা করবে।