অবতক খবর,২৭ মার্চ,ডায়মন্ড হারবার: রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে। গত 24 ঘন্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা শূন্য। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনা কিন্তু আবারও ফিরে আসতে পারে। আরও শক্তিশালী রূপে আঘাত হানতে পারে। চতুর্থ ঢেউয়ের মোকাবিলা করতে এবার এগিয়ে এলো বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ শুরু করেছে ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলা।

সম্প্রতি ডায়মন্ড হারবার করোনা সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সচেতনতা ও আলোচনা শিবির আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা। মূলত সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকার দ্বীপগুলিতে মানুষের কাছে করোনা সচেতনতা বার্তা নিয়ে কিভাবে পৌঁছাবে তার রূপরেখা তৈরি করে প্রাথমিকভাবে সাগর, পাথরপ্রতিমা ,মথুরাপুর, রায়দিঘির প্রান্তিক এলাকার মানুষদেরকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সচেতন করা মূল লক্ষ্য ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের। এছাড়াও প্রান্তিক এলাকার মানুষের কাছে করোনার টিকা কিভাবে পৌঁছাবে তার ও পরিকল্পনা করা হয়।

প্রান্তিক এলাকার মানুষদের টিকাকরণ সহ স্বাস্থ্য দপ্তরে একাধিক প্রকল্প নিয়োগ যৌথভাবে সরকার ও বেসরকারি সংগঠন কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস রায়, রায়দিঘির বিধায়ক আর অলোক জলদাতা, রায়দিঘির বিপিএইচএন ডা: অর্চনা ঘোষ, রায়দিঘির বিএমও এইচ ডা: প্রনবেশ হালদার। তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ডহারবার ও রায়দিঘি ব্লকের আশাকর্মীরা।

ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশীষ রায় জানান, স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভিন্ন কাজে জন্য স্বাস্থ্যকর্মী না সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। সুন্দরবনের সেইসকল প্রান্তিক এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলি এগিয়ে এসেছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্প গুলি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।