অবতক খবর,১ মেঃ সোমবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

আবদুল করিম বনাম অভিষেক ইগোর লড়াই—+

গোড়া থেকেই বলছি, তৃণমূল কোনো রাজনৈতিক পার্টি নয়। কিছু লোক, তাড়া যার যার স্বার্থে একত্রিত হয়েছে। তারাই দলকে টাকা তুলে দিয়েছে। মমতা ব্যানার্জি অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য এক সময়ে যাদের নিয়ে দল শুরু করেছিলেন, দলে এখন তাদেরই কোনো গুরুত্ব নেই। সিনিয়র লিডাররা হতাশায় ভুগছেন। কিন্তু করবেন কি? যাবেন কোথায়? যত ফালতু লোক, তারাই ছড়ি ঘরাচ্চে, কারণ তারাই টাকা তুলে দিচ্ছে। পুলিস আর গুন্ডা ছাড়া ওই পার্টি চলবে না। কোনো ভদ্রলোক ওখানে থাকতে পারবে না। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেছে। আবদুল করিম কে কে বলেছিল তৃণমূল কংগ্রেসে যেতে? উনি বিজেপির সঙ্গেও হাত মেলাতে চেয়েছিলেন। ক্ষমতাও চাই, পদ চাই, আবার স্বাধীনতাও চাই। সব হয়না। ওই পার্টিতে থাকতে গেলে ওভাবেই থাকতে হবে। কল্যান রাজীবকে নিয়ে আগেও বলেছেন। ওনার কথা শোনে কে?

শ্রম দিবসে ডিএ আন্দোলন ৯৬ দিন—

কত দিবস চলে গেল। মাসের পর মাস চলে গেল। তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের নৈতিক সমর্থন আছে। সেদিন এক মন্ত্রী বলেছেন, ডিএ দিতে গেলে সরকার সমস্যায় পড়বে। সরকার দিল্লী থেকে যে টাকা পাচ্ছে, তা যাচ্ছে কোথায়? কোনো হিসেব নেই। লুঠের রাজ চলছে।

দেবের ভাইয়ের ইস্যু—-

দেবের ভাই বলে খবরটা হয়েছে। এরকম হাজার হাজার লোকের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। কে অধিকার দিয়েছে ওদের? গরিবের কথা কেউ শোনে নি। আমরা নাম গুলো খুঁজে খুঁজে দিল্লী পাঠিয়েছি। আমি নিজে কেসিয়ারি থেকে এরকম এক গুচ্ছ নাম পাঠিয়েছি। তারা অন্য পার্টি করে। তাই একটা নাম নয়, এরকম হাজার হাজার নাম আছে, যাদের বাড়ি দেওয়া হয়নি।

দিল্লিতে এক কোটি চিঠি নিয়ে যাবো, কেন্দ্রকে টাকা দিতেই হবে: অভিষেক

ওনার পিছনে চারটে লোক নেই। উনি এক কোটির গল্প দিচ্ছেন। উনি দেখে নিয়েছেন উত্তরবঙ্গে দলের কি অবস্থা। নিজের পার্টির লোককে সামলাতে পারছেন না। দলীয় স্তরে নির্বাচন করতে পারছেন না। তার আবার এতো বড় বড় কথা?

বেলেঘাটা সংঘর্ষ ইস্যু–

আগে সাধন বনাম পরেশ ছিল। এখন তার মেয়ে বনাম এদিকের সমাজবিরোধি। এ পুরনো ব্যাপার। স্থানীয় কিছু নেতা উঠেছে। যারা স্কোয়ার ফিট মেপে চাঁদা নিচ্ছে। এই নিয়ে মারপিট। প্রচুর টাকার কালেকশনের গল্প। ওখানে একজন সরকারি জমিতে ধাবা খুলে বসেছেন।

মন কি বাত: বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি

কাল প্রমাণ হল প্রধানমন্ত্রী কতটা পপুলার। আমাদের ইচ্ছা ছিল বিশ্বরেকর্ড গড়ার। এক সঙ্গে এতো লোক একটা অনুষ্ঠান এর আগে দেখেনি। এক নেতা একশো এপিসোড এর আগে হয়নি। আমরা আমাদের সাংগঠনিক শক্তি দেখালাম। আর তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনের অবস্থাও তো আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন।

২০২৬ এ বিধানসভা ভোটে তৃণমূল ২৪০: অভিষেক—

আগে পঞ্চায়েত জিতুক , ২৪এ লোকসভা জিতুক। তারপর দেখা যাক পার্টিটা থাকে কিনা। আগের বার এক ডজন হারিয়েছে। এবার যদি আরো এক ডজন হারায়, তাহলে আগে পার্টি থাকবে কিনা সেটা দেখুক।

প্রবীর কয়ালকে আজ নিজামে তলব—–

এরকম অনেক দালাল আছে। আসল হ্যান্ডলার এরা। বেনিফিসিয়ারি সবাই। হাজার হাজার লোক এর সঙ্গে যুক্ত। কিছু ধরা পরেছে। কুন্তল, শান্তনু। আরো ধরা পরবে। বিচারপতি সেই কারণেই সিবিআই কে দ্রুত জাল গুটিয়ে আনতে বলেছেন।