মিলছে না পিএইচ পাম্প থেকে পানীয় জল,শুধু মিলছে আর্সেনিক যুক্ত জল

অবতক খবর,মালদা,সানু ইসলামঃ বাড়ির পাশেই পিএইচ পাম্প। তবুও জল পাচ্ছে না প্রায় তিনশো পরিবার। বিশেষ করে এপ্রিল মে- মাসে জলসংকট তীব্র হয়। জলয় স্তর নিচে নেমে যাওয়াই টিউবল থেকেও জল উঠে না। স্নান করা ,কাপড় কাচা ও বাসন মাজা তো দূরের কথা। খাওয়ার জলটুকু পাওয়া যায় না। টিউবল থেকে খুব কষ্ট করে জল উঠালেও সেটি আর্সেনিক যুক্ত যা পানের অযোগ্য।

তবুও বাধ্য হয়ে খেতে হচ্ছে আর্সেনিক যুক্ত সেই বিষ জলেই। রতুয়া দু নম্বর ব্লকের সম্বলপুর অঞ্চলের কদমতলী পূর্বপাড়ায় জলের জন্য হাহাকারের ছবি ধরা দিল অবতকের  ক্যামেরায়।

গ্রামবাসীর অভিযোগ ,এলাকায় পিএইচ পাম্প রয়েছে। সেখান থেকে রীতিমতো গ্রামের অন্য এলাকার বাসিন্দারা জল পান। শুধুমাত্র পাম্পের নিকটবর্তী আড়াইশো থেকে তিনশো পরিবারের লোক জল পাচ্ছে না। এপ্রিল মে মাসে জলসঙ্কট তীব্র হয়ে যায়। জলস্তর নেমে যাওয়ায় টিউবেল থেকেও জল সেরকম পাওয়া যায় না। বিষয়টি নিয়ে বারবার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। সূরাহা হয়নি শুধুই মিলছে আশ্বাস।

শুক্রতারা বিবি বলেন, আমরা জানি জলের অপর নাম জীবন। বাড়ির পাশেই পিএইচ ট্যাংক রয়েছে। অথচ আমরা জল পাচ্ছি না। বিশেষ করে এপ্রিল মে মাসে জলস্তর কমে যায়। টিউবল নিউ বছর খানেক আগে ব্লক অফিসে ব্যাপারটি জানিয়েছি। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আমর মত গোটা গ্রাম জল সমস্যাই ভুগছে। আমরা চাই প্রশাসন অতি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করুক।

ওই পিএইচ এর অপারেটর মনিরুল ইসলাম সাফ জানিয়েছেন, এখানে দুটি পাম্প রয়েছে। ওই দিয়ে জল সরবরাহ করতে হিমসিম খেতে হয়। পূর্বপাড়া এলাকায় জলদিতে দেওয়ার জন্য একটি আলাদা পাম্প বসাতে হবে। তাছাড়া ওই এলাকাগুলোতে নতুন করে জলের পাইপের কানেকশনগুলো করতে হবে। আমি কর্তৃপক্ষকে সবটা জানিয়েছি। রুতুয়া দু’নম্বর ব্লকের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার শ্রেয়া দাস বলেন, ওই এলাকায় জলের সমস্যা আছে সেটা আমারা জানি। আমরা সার্ভেও করেছি। ওই এলাকায় পাইপের কানেকশন করতে হবে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অতি দ্রুত সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছি।