খোদা ভগবান ও ভাত
তমাল সাহা
মন্দিরে ঈশ্বর ও ভগবান থাকেন
ঈশ্বর শব্দটি অত্যন্ত তাৎপর্যময়। এটা আমি আমার পিতার কাছ থেকে শুনেছি। ঐশ্বর্য আছে যার তিনিই ঈশ্বর।
আমার পিতা বলেছিলেন, ভগবান শব্দটি ব্যুৎপত্তিগতভাবে ভালো নয়। এতে যৌনতা ও অশ্লীলতা লুকিয়ে আছে। তবে পণ্ডিতেরা একে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তারা বলেছেন, ভগ মানে ছয়টি গুণ ও বান অর্থ সমন্বয়।
বাবা বলেছিলেন,
আমাদের ভগবানের মূর্ত রূপ দেব ও দেবী। তা তেত্রিশ প্রকার। তবে তারা প্রাণহীন।
আমি মসজিদে গিয়েছিলাম। সেখানেও আল্লাহকে দেখিনি।
বাবা বলেছিলেন, আল্লাহর কোনরূপ নেই।
বাবাকে বলি, মন্দির মসজিদের বাইরে আমি লুঙ্গি পরা ছেঁড়া গেঞ্জি গায়ে দেখতে একই রকম দুটি ভিখিরি দেখতে পেয়েছি।
একজন বলছে, হে ভগবান! বড় খিদে পেয়েছে, দুটি ভাত দাও।
আরেকজন বলছে, হায় খোদা! বড় খিদে পেয়েছে দুটি ভাত দাও।
বাবা বলেন, তাহলে তুমি বুঝলে তো ভগবান ও খোদা কোথায় আছে!
খিদে পেলে যারা বুভুক্ষুর হাতে দুটি ভাত তুলে দেন, তারাই খোদা, তারাই ভগবান।
তবে শেষ কথাটি বলি, ওই হাভাতেরা খোদা, ভগবান বলে ডাকলেও দুমুঠো ছাড়ো একমুঠো ভাতও পেয়েছে কী?
না পায়নি, বাবা!
তাহলে কি বুঝলে?
খোদা বা ভগবান বধির ও অন্ধ অথবা তাদের কোনো অস্তিত্বই নেই।