অবতক খবর,২২ জানুয়ারিঃ ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদের থাবা থেকে এ, প্রিয় জন্মভূমিকে মুক্তি করতে ঝরাতে হয়েছে অনেক রক্ত পাড়ি দিতে হয়েছে হাজারো বাধার পথ। ব্রিটিশ এর কবল থেকে ভারত বর্ষকে বাঁচানোর জন্য সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম কিংবদন্তি নেতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। সারাদেশ জুড়ে দিনটিকে নেতাজি প্রতিকৃতিতে মাল্যদান , পথসভা, আলোচনা সভা ,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর মাধ্যমে পালন করা হবে।সেই প্রস্তুতি চলছে , বৈদ্যবাটী শহর জুড়ে।

স্বাধীনতার প্রায় দশ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৩৫ সাল নাগাদ নেতাজি এসেছিলেন অধুনা বাংলার এই বৈদ্যবাটীতেই। শোনা যায় এই বৈদ্যবাটীতেই, দুইবার বার, একবার অবিভক্ত বাংলা কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে অর্থ সংগ্রহের জন্য এসেছিলেন এবং এখানে ছিলেন সুরেন ঘোষ মহাশয় বাড়িতে এবং সেখানে বৈঠকখানায় বসে বৈঠক ছাড়েন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। এবং দ্বিতীয়বার আসেন অক্লান্ড হাউহাউসে যেটি বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল কমপ্লেক্সান। সেই গঙ্গার ধারের অক্লান্ড হাউসে ছিল অক্লান্ড সাহেবের কুটির। সেখানে এসে তিনি চটকল শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে একটি জনসভা করেন, এবং সেই জনসভায় মূল বক্তা ছিলেন তিনি। সভার শেষে, তিনি যাবার পথে ভদ্রেশ্বর থেকে গঙ্গা পার হতে গিয়ে ওই পাড়ের ব্রিটিশ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সেই দিন ব্রিটিশ পুলিশ আটকে রাখে তাকে এবং তার পরের দিন তাকে মুক্ত করা হয়। তাই কাল সারাদিন ধরেই বৈদ্যবাটি শহর জুরে পালন করা হবে নেতাজির জন্ম জয়ন্তী।সারা ভারত ফরোয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চ্যাটার্জী বলেন আগামীকাল ভারতবর্ষে বীর নেতার জন্মদিন। সরকার দিন টিকে পালন করুক কিংবা না করুক দেশের মানুষ তাকে অন্তর থেকে ভালোবাসে শ্রদ্ধা করে তাই জনসাধারণ মিলে এই দিনটিকে পালন করা হয়।

কালকের দিনে বৈদ্যবাটী শহর জুড়ে একগুচ্ছ কর্মসূচির কথা জানান তিনি। নেতাজির প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের পর বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিন টিকে পালন করা হবে।