অবতক খবর , অভিষেক দাস , মালদা :- মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে একই এলাকা থেকে দুই জোড়া যুবক ও যুবতীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বিশাল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়লো , মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌরিপুর এলাকায়।

জানাগেছে,মাত্র ১৫ দিন পূর্বে কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের নসরপুর এলাকার বাসিন্দা তুতেন সিংহের মেয়ে নিরূপা সিং এবং ওই এলাকার বাসিন্দা দুলাল সিংহের ছেলে পবিত্র সিংহের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এমনিতেই শোকাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা।আর সেই ঘটনার ঠিক ১৫ দিনের মাথায় তথা বৃহস্পতিবার সকালে কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌরীপুর এলাকায় একটি গাছের ডালে যুগলের ঝুলন্ত মৃতদেহ নজরে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,প্রতিদিনের মত প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এলাকাবাসীর নজরে আসে বরল গাছের মধ্যে ঝুলে থাকা যুবক-যুবতীর দেহ।ঘটনা চাউর হতেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমায় এলাকাবাসীরা।একটি ওড়নার এক প্রান্তে যুবতী,আরেক প্রান্তে যুবক ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।

প্রেম সংক্রান্ত কারণেই এই ঘটনা বলে মনে হলেও তাদের মধ্যে সেরকম কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না বলে জানান স্থানীয়রা। আত্মহত্যা নাকি খুন এই নিয়ে সন্দেহের দানা বেঁধে এলাকাবাসী থেকে প্রশাসনিক মহলে। আসল ঘটনা তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।পুলিশ যুগলের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছেন বলে খবর।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,মৃত যুগলের মধ্যে যুবকের নাম বিষ্ণু সিংহ(২৫) বাড়ি বিহার রাজ্যের আজম নগর থানার তামাবাড়ি এলাকায় এবং যুবতীর নাম গীতা সিংহ(১৮) বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের কুশীদা গ্রাম পঞ্চায়েতের নসরপুর গ্রামে।

মৃত যুবতি গীতা সিংহের দিদি জালাতন সিংহ জানান প্রায় দশদিন আগে গ্রামে পুজো অনুষ্ঠান দেখতে দিদির বাড়িতে ঘুরতে আসে। গতকাল সন্ধ্যা সাতটার সময় বাথরুমে গিয়ে আর ফিরেনি। সারারাত খোঁজাখুঁজির পর সকালে বাড়ির নিকটে বরল গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকার খবর পেয়ে ছুটে যায়। মৃত যুবকটির সঙ্গে তার বোনের কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না বলে জানান। কেনো আত্মহত্যা করেছে তা ভেবে পাচ্ছে না পরিবারের লোকেরা।

মৃত যুবকের জাইমবাবু সুন্দর সিংহ জানান তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক খবর কেউ জানে না। কেনো তারা আত্মহত্যা করেছে কেউ জানে না। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।