অবতক খবর,২০ জানুয়ারি, চাঁচল: ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজ না করে গ্রামের বাঁশশঝাড়,পরিত্যক্ত বাড়ি ও মরা মহানন্দা নদীতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল প্রকল্পের বোর্ড। হদিস পেতে সেই সমস্ত বোর্ড তুলে এনে গ্রামের মাঠে পুতে, একশো দিনের সরকারি প্রকল্পে পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে শামিল হলেন গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচল ১ নং ব্লকের অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবিগঞ্জ গ্রামে। ঘটনায় দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। গোটা ঘটনা না কে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর।

উল্লেখ্য,কাজ নাকি কিছুই হয়নি৷ বোর্ডও কোথায় যেন সরে পড়েছে৷ সেসবের হদিস পাচ্ছিলেন না কেউ৷ এদিকে পঞ্চায়েত ভোট দোরগোড়ায়৷ এখন পাওয়া-না পাওয়ার হিসাব মেলানোর সময়৷ শেষ পর্যন্ত সফল গ্রামবাসীরা৷ খুঁজে পেয়েছেন ১০০ দিন কাজ প্রকল্পের বোর্ড৷ সেসব লুকোনো ছিল বাঁশঝাড়, পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে শুরু করে গ্রামের মরা মহানন্দা নদীতেও৷ সব বোর্ড তুলে এনে, গ্রামের মাঠে পুঁতে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা৷ মালদহের চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীগঞ্জ গ্রামের৷ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে ওই গ্রামে অনেক স্কিম ধরা হয়েছিল৷ কিন্তু সেসবের কাজ আর হয়নি৷ গ্রামে কখনও কলা বা ফলবাগান হয়েছে কিনা, কেউ মনে করতে পারছেন না৷ একটি গোয়ালঘর হয়েছে বটে, কিন্তু চারপাশের প্রচীরটাই৷ ভোটের মুখেও গবাদি পশুদের মাথার উপর ছাউনি পড়েনি৷ খোঁজখবর নিয়ে গ্রামবাসীরা নাকি জানতে পেরেছেন, খাতায় কলমে সব কাজ শেষ৷ টাকাপয়সাও তুলে নেওয়া হয়েছে৷ সব শুনে ক্ষোভের আগুনে প্রবল শীতেও ঘামছেন গ্রামের সবাই৷ তারই বিস্ফোরণ হয়েছে আজ৷ লুকোনো জায়গা থেকে সব বোর্ড তুলে গ্রামের মাঠে পুঁতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গ্রামবাসীরা৷

যদিও অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য জাহাঙ্গির আলমের বক্তব্য, ‘এসব বিরোধীদের চক্রান্ত৷ আমি দেবীগঞ্জের যে উন্নয়ন করেছি, তা ওদের সহ্য হচ্ছে না৷ তাই মিথ্যে অভিযোগ করে পঞ্চায়েত ভোটের আগে আমাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে৷

সরকারি প্রকল্পে কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ এর ঘটনা সামনে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা৷ বিজেপির তরফে জেলা যুব মোর্চার সহ সভাপতি অয়ন রায়ের বক্তব্য, ‘পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের দুর্নীতি ততই প্রকাশ্যে আসছে৷ অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য জাহাঙ্গির আলম ১০০ দিনের কাজের বোর্ডগুলোও লুকিয়ে রেখেছিল৷ গ্রামবাসীরা তা জানতে পেরে বোর্ডগুলি খুঁজে এনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন৷

যদিও বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দিতে নারাজ চাঁচল ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শেখ আফসার আলি৷ তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এটা বিরোধীদেরই চক্রান্ত৷ অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে৷ সেই উন্নয়নকে ধামাচাপা দিতেই তারা এসব চেষ্টা চালাচ্ছে৷ কাজ না হলে পাঁচ বছর ধরে মানুষ কেন চুপ করে বসে ছিল৷