অবতক খবর,৯ জুন,জলপাইগুড়ি,ময়নাগুড়ি: কি শীত কি গ্রীষ্ম খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থেকেই বাস ধরতে হয় যাত্রীদের । ময়নাগুড়ি ব্লকের হুসলুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই অবস্থায় বাস ধরতে হয় বলে অভিযোগ । দীর্ঘদিন এভাবে চললেও যাত্রীদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে কেউ এগিয়ে আসেননি । যার কারণে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সহ যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ।

এই পরিস্থিতিতে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের দাবি জানিয়েছেন ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সহ যাত্রীরা । পাশাপাশি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় একটি শৌচালয় তৈরীর দাবি করেছেন তারা । এই বিষয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ডিরেক্টর সঞ্জীব শর্মা বলেন , ‘ আবেদন থাকলে সেটা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।’

ময়নাগুড়ি ব্লকের মধ্যে হুসলুডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড ময়নাগুড়ির একটি অন্যতম ব্যস্ততম বাস স্ট্যান্ড । এই বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন শত শত যাত্রী বাস ধরেন । স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , প্রায় এক দশক আগে সেখানে যাত্রীদের জন্য প্রতিক্ষায় ছিল । এক ট্রাক দুর্ঘটনায় যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হয় । এরপর সেখানে আর যাত্রী প্রতিক্ষালয় তৈরী করা হয়নি । যদিও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় তারা সেখানে যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছিল ।

কিন্তু জাতীয় সড়কের ফোরলেনের কাজ শুরু হয়ে যাওয়ায় তারা আর সেটি করেনি । তবে এখন জাতীয় সড়কের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সেখানে যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরী না হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের । অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ রোদ বা বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থেকে বাস ধরতে হয় । তখন রোদ বা বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে যাত্রীদের মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকে না । রোদ ও বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বাস ধরতে হয় যাত্রীদের । বিশেষ করে বর্ষার দিনে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় তাদের । এছাড়া বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের জন্য কোনো শৌচাগার নেই । যার কারণে বিশেষ করে মেয়ে ও মহিলারা সমস্যায় পড়েন ।

অনেক সময় পার্শ্ববর্তী বাড়িতে মহিলাদের ছুটে যেতে হয় শৌচকর্মের জন্য । অমর রায় নামে এক যাত্রী বলেন , ‘ হুসলুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন শত শত যাত্রী বাস ধরেন । কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এখানে কোনো যাত্রী প্রতীক্ষালয় ও শৌচাগার নেই । ফোরলেনের কাজের পর জাতীয় সড়কের পাশাপাশি কোনো দোকান পাট নেই ।

তাই রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে বাস ধরতে হয় যাত্রীদের । দূরদূরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের শৌচকর্মের প্রয়োজন হলে তারা যে শৌচকর্ম করবেন তারও কোনো ব্যবস্থা নেই ।’ স্থানীয় বাসিন্দা বিনোদ রায় বলেন , ‘ আমাদের এখানে যাত্রীদের জন্য একটা বিশ্রামাগার ও শৌচালয়ের দাবি রয়েছে ।

যাত্রীদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে সেটা অবিলম্বে তৈরী করা হোক আমরা এটাই চাই ।’ এই বিষয়ে চূড়াভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কাকলি বৈদ্য বলেন , ‘ আমাদের চূড়াভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতে কিছু কাজ করার জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে । সেই কাজগুলি এখনও হয়নি । হুসলুডাঙ্গায় যাত্রী প্রতীক্ষালয় ও শৌচাগার নির্মাণের বিষয়টিও আমি তাদের জানাব ।’