অবতক খবর,২৯ মার্চঃ কেন্দ্রীয় সরকারে বঞ্চনার প্রতিবাদে কলকাতায় ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

হুগলির আলিনগরে তৃণমূল-সিপিএমের বিরুদ্ধে ধর্নায় বিজেপি।

তৃণমূলের পার্থ, অনুব্রত থেকে সিপিএমের সূর্যকান্ত ও সুজন চক্রবর্তী ছবি নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল বিজেপি। সূজন চক্রবর্তী ও সূর্যকান্ত মিশ্রদের ছবির নিচে লেখা “চাকরি চোর”। বুধবার পোলবার আলিনগর মোড়ে সিপিএম কার্যালয়ের সামনে ফ্লেক্স ও পোস্টার হাতে অবস্থান-বিক্ষোভের বসে বিজেপি কর্মীরা। ফ্লেক্সে লেখা চোরের রানীর বড় গলা। কেন্দ্রের বরাদ্দের লুট বন্ধ, প্রকল্প লুঠেদের শাস্তি এবং চাকরি চোরদের জেলে পাঠানোর দাবিতে এই অবস্থান বিক্ষোভ। গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। অপরদিকে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার তাদের ছবির সঙ্গে সূর্যকান্ত ও সুজনদের ছবি নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ বিজেপির। আজ কলকাতার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধরনায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পাল্টা নিয়োগ দুর্নীতিতে দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তীর দাবিতে অবস্থান-বিক্ষোভে বিজেপির।

বিজেপির মন্ডল সভাপতি অর্ঘ্য চক্রবর্তী জানান, যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে ধরনায় বসেছেন । পশ্চিমবঙ্গের যারা সরকারি কর্মচারী তারা ডিএর দাবিতে অনশনে বসেছে। আর এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজের রাজ্যের দাবি মেটাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আর উনি দিল্লি নিয়ে ধরনায় বসছেন। ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র দিচ্ছেনা তার দাবিতে। ১০০ দিনের কাজের টাকা তৃণমূল চুরি করেছে তারা হিসেব দেখাতে পারছেন না। সেই কারণে কেন্দ্রীয় সরকার তাদেরকে টাকা দিচ্ছেন না।

কিন্তু সূর্যকান্ত মিশ্র সুজন চক্রবর্তীদের ছবি নিয়ে কেন সে প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির মন্ডল সভাপতি বলেন, একসময় সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী ও সূর্যকান্তর মেয়ে তারাও এইভাবে চিরকুটে চাকরি পেয়েছেন। সিপিএমের সময় চিরকুটে চাকরি হয়েছে। সিপিএমের সময় কোটে মামলা হয়েছিল। তখন দেখা গেছে প্রায় কুড়ি পঁচিশ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। সেটা পরবর্তীকালে তৃণমূল সরকার এসে সেটিং করে ধামাচাপা দিয়েছিল।

SFI রাজ্য কমিটির সদস্য অর্ণব দাস জানান, ভারতীয় জনতা পার্টি ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। ২০১১ সালে পালাবদলের পর তৃণমূল কংগ্রেস ১৮ টা কমিশন করেছে। একটা কমিশনের রিপোর্ট বার করতে পারেনি। সুজন চক্রবর্তী সূর্যকান্ত মিশ্র সুশান্ত ঘোষ কেউ বাদ যায়নি । গৌতম দেব সূর্য মিস্টার মেরুদন্ড সোজা করে রেখেছে একই দলে। কিন্তু মুকুল বাবুরা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গেছে বিজেপি থেকে আবার তৃণমূলে গেছে। শুভেন্দু তৃণমূল থেকে বিজেপি তে গিয়ে ভাবছে সারফ এক্সেলে জামাত হয়ে নিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর আগের যে নারোদার চুরির টাকার যে তদন্ত সেটা আগে হোক । বিজেপি কে বলব যা প্রমাণ করতে পারবেন তা বলবেন যা প্রমাণ করতে পারবেন না তা বলবেন না । গোটা দুর্নীতিতে তৃণমূল বিজেপি হাতে হাত ধরে চলছে ।