অবতক খবর,২১ জুলাই,নববারাকপুরঃ জন্ম থেকে হাঁটতে পারে না। ইংরেজি তে বলে লোকোমটর ডিসএবিলিটি বা চলন ক্ষমতার অক্ষমতা ।পড়াশোনার ভালো। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। মা বাবা মেয়ে কে কোলে করে নিয়ে সর্বত্র যাতায়াত। গরিবের সংসার।

স্কুল থেকে বাজার সব জায়গায় মেয়েকে কোলে পিঠে অথবা টানা রিক্সায় নিয়ে যেতে হয়। বিভিন্ন অসুবিধার মধ্যেও সম্প্রতি এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফ থেকে এক হুইল চেয়ার পেয়ে টালি বেড়ার ভাড়া ঘরে বসবাস করে বেজায় খুশি উত্তর ২৪ পরগণা জেলার নববারাকপুর পুরসভার ৮নং ওয়ার্ডের পশ্চিম মাসুন্দার বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা বিকাশ বিশ্বাসের একমাত্র তেরো বছরের কন্যা মৌপ্রিয়া বিশ্বাস।

হুইল চেয়ার নিয়ে মৌপ্রিয়া প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। বাবা একটি গ্লাফস কারখানায় কাজ করে। আর্থিক অনটনে মেয়ে কে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থেকে মেয়ে কে নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান মেয়ে টি র বাবা মা। জন্মের পর থেকে মেয়ে হাঁটতে পারে না। দুটি পা সরু শীর্নকায়া।

নববারাকপুর পুরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মিলন চক্র ক্লাবের মাঠের পাশেই বাপের বাড়ি।পনেরো বছর আগে ভালোবাসা করে সামাজিক প্রথা উভয়ের বিয়ে হয়েছিল। ২০০৯ সালে নববারাকপুর পুরসভার ডাঃ বি সি রায় জেনারেল হাসপাতাল ও মাতৃসদনে মৌপ্রিয়া জন্মগ্রহণ করে।মৌপ্রিয়া চলন অক্ষমতার প্রতিবন্ধকতা কে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় তার অভাবী বাবা মা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাও খুশি মৌপ্রিয়া এই অত্যাধুনিক হুইল চেয়ার নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন ও যাতায়াত।বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষিকার সার্বিক সহযোগিতায় এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে চলন ক্ষমতার অক্ষমতা পড়ুয়াকে এক অত্যাধুনিক হুইল চেয়ার এবং পড়াশোনার সামগ্রী প্রীতি উপহার তুলে দেওয়ায় খুশি পরিবার।

এখন দেখার ভবিষ্যতে কিভাবে চলন অক্ষমতাকে এগিয়ে নিয়ে পারবে তার বাবা মা মেয়ের স্বাভাবিক চলাফেরা প্রশ্ন উঠেছে