অবতক খবর,৩০ জুনঃ হরিদেবপুর কাণ্ডে একজন মহিলা সাব ইঞ্জিনিয়ারের সাসপেনশনকে ঘিরে সরগরম কলকাতা পৌর সংস্থা। কিসের ভিত্তিতে এই সাসপেনশন তার কোনো ব্যাখ্যা না করেই ওই অঞ্চলের মহিলা সাব ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে অভিযোগ বামপন্থী ইঞ্জিনিয়ার দের সংগঠন কে এম সি ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড অ্যালাইড সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন এর সদস্যরা।

এদিন পথে নেমে ইঞ্জিনিয়ার দের সংগঠন অবিলম্বে বরখাস্ত মহিলা ইঞ্জিনিয়ারের সাসপেনশন প্রত্যাহার করার দাবি জানান। এদিন কলকাতা পৌর সংস্থার দফতর থেকে বাইরে বেরিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন ইঞ্জিনিয়াররা।

এদিন সাগঠানের সাধারণ সম্পাদক মানস সিনহার নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত করা হয়। এদিন মানস সিনহা অভিযোগ করেন যে এক একটি ওয়ার্ডে প্রায় ৩৫০০ ল্যাম্প পোস্ট রয়েছে। যার রক্ষণ আবেক্ষনের জন্য ১২ থেকে ১৪ জন দরকার হয়। সেখানে প্রচুর শূন্য পদ ফাঁকা রয়েছে। কিন্তু পৌর সংস্থা সেসব জায়গায় নিয়োগ করছে না। যার ফলে একজন সাব ইঞ্জিনিয়ার কে কেন ৩৫০০ হাজার ইলেকট্রিক পোস্ট দেখতে হবে।

তার দাবি সেই মহিলা সাব ইঞ্জিনিয়ার এর উপরে অতিরিক্ত দায়িত্ব জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ সেই মহিলা ইঞ্জিনিয়ার পরিষ্কার ভাবে জানিয়েছেন যে এই ল্যাম্প পোস্ট কলকাতা পৌর সংস্থার ছিল না। তাহলে কেন এই মহিলা সাব ইঞ্জিনিয়ারকে কলকাতা পৌর সংস্থার কর্তৃপক্ষের ব্যার্থতার জন্য বালির পাঠা করা হল বলে প্রশ্ন তুললেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানস সিনহা। তার অভিযোগ কর্তৃপক্ষের পুতুল কমিটি কে দিয়ে তদন্ত করে তাদের মত ব্যাখ্যা করে তাদের যে দায়ভার সেটা এড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। কলকাতা পৌর সংস্থায় মাত্র ৩০ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার কে দিয়ে ১৪৪ টি ওয়ার্ডের আলো ও বিদ্যুৎ বিভাগের কাজ দেখা হচ্ছে বলে ও অভিযোগ করেন ইঞ্জিনিয়ার দের সংগঠনের নেতা মানস সিনহা।

সারা কলকাতা জুড়ে ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বেআইনি ও অগণতান্ত্রিক কাজ করাচ্ছে কলকাতা পৌর সংস্থা বলেও এদিন অভিযোগ মানস বাবুর। নাগরিক পরিষেবা আক্রান্ত হচ্ছে আর তার দায়ী ইঞ্জিনিয়ার দের ঘাড়ে দিয়ে তাদের কে বালির পাঠা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এদিন এই মিছিল মেয়র ফিরহাদ হাকিমের প্রবেশ দ্বারের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে শেষ হয়।