অবতক খবর,২৪ মার্চ: আজ নদিয়া হরিণঘাটা বিধানসভার অন্তর্গত হরিণঘাটা পৌরসভার সামনে রাজ্য বিজেপির যে কর্মসূচি জেলাজুড়ে পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অর্থাৎ ধিক্কার মিছিল ও প্রতিবাদ এবং অবরোধ। দেখা গেল হরিণঘাটায় পৌরসভার সামনে হরিণঘাটা বিজেপি শহর মন্ডলের ডাকে আজ থেকে ছয়টা পর্যন্ত অবরোধ করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। হরিণঘাটা শহর বিজেপির কার্যকর্তা উপস্থিত নেতৃত্বে।

এদিন বিজেপির কার্যকর্তাদের মুখে একটি স্লোগান ছিল যে, রাজ্যে বিধানসভা ও পৌরসভা নির্বাচনের পর রাজ্য সরকার যেভাবে পুলিশকে দলদাহ হিসেবে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের কন্ঠ বন্ধ করে দিয়েছে, শুধু তাই নয় মিথ্যা মামলায় বিরোধীদের কেস দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে। এই বিষয়ে যেমন প্রতিবাদ জানায় বিক্ষোভকারীরা, ঠিক তেমনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মদতে তৃণমূল কংগ্রেসের হার্মাদ গুণ্ডাবাহিনীর তান্ডবলীলা সারা রাজ্যব্যাপী চলছে, তা নিয়ে বিরোধিতায় সরব হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। এমতাবস্থায় এক মাসের মধ্যে ২৬ জন শাসক এবং বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের খুন করা হচ্ছে, তাদের গলাটিপে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার এই খুনের দেউলিয়ার প্রকল্প চালু করেছে। এমনটাই দাবি বিজেপি কার্যকর্তাদের।

তার সাথে সাথে যেভাবে নিষ্ক্রিয় হয়েছে রাজ্য প্রশাসন, দলদাস হয়ে উঠেছে, রাজ্য সরকার প্রশাসনকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেসকে গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে যেভাবে লুট হিংসা প্রতিফলনের রাজনীতি শুরু করেছে, গণতন্ত্রকে গলা কেটে খুন করার চেষ্টা করছে, এটা কখনোই গণতান্ত্রিক দেশে কাম্য নয়।

একইসাথে বাংলার সাধারণ মানুষকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল শাসনকালে যে হত্যা ও নরবলির মধ্য দিয়ে বাংলা যাচ্ছে তাতে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে বারবার বলা কথা যে, এগিয়ে বাংলা না। বিরোধী দলের প্রশংসায় আবারও বললেন সত্যি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলেন যে এগিয়ে বাংলা সেটা আজ প্রমাণ হচ্ছে এ বাংলাতে। কারণ বাংলা এখন খুনের রাজনীতি এবং হিংসার রাজনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এক মাসের মধ্যে ২৬ জন রাজনৈতিক নেতাকর্মী খুন হয়েছে। সেটা খড়দহ, শান্তিপুর টু রামপুরহাট বীরভূমের বগটুই গ্রামের নরকীয়তার ধিক্কার এবং প্রতিবাদ জানিয়ে আজ দু ঘন্টার অবরোধ করে দেয় হরিণঘাটা পৌরসভার সামনে। অত্যন্ত ব্যস্ততম রাস্তা রয়েছে চার রাস্তা মোড়।

সাথে সাথে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে তারা বিক্ষোভে অনড় থাকে। পরবর্তীকালে স্থানীয় থানার প্রশাসন তথা হরিণঘাটা থানার আধিকারিকরা এসে কথাবার্তা বলে এদিন বিক্ষোভকারীদের দু’ঘণ্টা পরে তারা বিক্ষোভ তুলে নেয়।