আজ ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত-র ২১০তম জন্মদিন: শ্রদ্ধা

বাঙালি বিস্মৃত ও বিস্মিত জাতি। অকৃতজ্ঞ জাতি। বাংলা সংবাদপত্রের জনক অগ্রদূত, যাকে কেন্দ্র করে আজ ‘বিগ হাউস’ ও ‘মিডিয়া’ শিরোপা পেয়েছে সংবাদপত্রওয়ালারা আর কোটি কোটি টাকার কারবারি হয়ে যাচ্ছে,তারা কেউই স্মরণ
করে না সেই ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের জন্মদিন। এমনই অকৃতজ্ঞ এই বাংলা মিডিয়া। আমাদের অহঙ্কার, আমাদের গর্ব তিনি কাঁচরাপাড়ায় জন্মেছিলেন।

সেই লোকটা
তমাল সাহা

যে লোকটা স্পষ্টকে স্পষ্ট করেই বলতেন
তাকে কি আপনারা চেনেন?
সামাজিক সত্যে নির্মোহ ছিলেন।

সেই লোকটা খুব সাদাসিধে পুরোমাত্রায় সহজ-সরল বাঙালি ছিলেন
ধুতি পাঞ্জাবি সম্বল চাদরটি কাঁধে ফেলে
এই কাঞ্চনপল্লীতে সুতানুটি গোবিন্দপুর গাঁয়ে ঘুরে বেড়াতেন।

লোকটা ছিলেন লেখায় ব্যঙ্গবিদ্রূপে সিদ্ধহস্ত
ছিলেন ওস্তাদ গায়কীতে।
লোকায়ত জীবন সংস্কৃতিতে তার গবেষণাপ্রসূত অভিযান– সব মনে আছে।

সিপাহি বিদ্রোহ, বিধবা বিবাহ প্রচলন, মেয়েদের ইংরেজি শিক্ষা নিয়ে মতভেদ ঐতিহাসিক ঘটনা।
লোকটি সহজেই সংশোধন করে নিতে পারতেন নিজের ত্রুটি ও ভুল
নারীশিক্ষা প্রচলনে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন অবশ্য হাতখানা।

লোকটা যাই করুক
বাংলা সংবাদপত্রের সামাজিক দায়বদ্ধতায় তরবারি ছিল তার লেখনী।
উনিশ বছর বয়সে সংবাদ প্রভাকর-এর সম্পাদক, ভাবা যায়
এই লোকটির গুরুত্ব ছিল কতখানি!

কে লোকটি! কে লোকটি?
এই কাঞ্চনপল্লীতে তার জন্ম এই জানি
গর্বে স্ফীত আমাদের বুকখানি।

এই জনপদ এই বলে খ্যাত হোক
আমরা ঈশ্বর গুপ্তের দেশের লোক।