এতো আগুন নিয়ে লেখো কেন তুমি?
তোমার মায়ের পেট ছিল কি আগুনের গর্ভভূমি?
পশ্চিমবঙ্গের শ্রমমন্ত্রীর নাম কি জানো?
শ্রমিক শব্দটি নেই আর অভিধানে,শোনো!

২৬ মে বুদ্ধপূর্ণিমায় তুমি দেখো জ্যোৎস্নার চাঁদ।
আমি তখন বারাকপুরের বারকান্দায়—
গেঞ্জি কারখানায় দেখি
চারজন শ্রমিকের অগ্নিমৃত্যু ফাঁদ।
২৯ মে উদ্ধার হলো দেহ
তোমার মন্ত্রী, মিডিয়া, নেতানেত্রী
পাত্তা দিল কি, কেউ বা কেহ?

সেই আগুনের কথা
তমাল সাহা

সেই আগুন বারবার চলে আসে লেখায়
খবরটি নেই বড় বড় সংবাদের পাতায়!

আগুন নিয়ে এতো লেখো কেন তুমি?
আরে জীবনের খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বীই তো অগ্নি!

আগুনও লুকিয়ে রাখে মানুষ!
তিন দিন ধরে বেপাত্তা করে রেখেছিল
গেঞ্জি কলে চারজন মজুর!
মানুষকে উদ্ধার করতে কত সরঞ্জাম
ফায়ার ব্রিগেড ফোম পে লোডার প্রচুর!

খোঁজ! খোঁজ! খোঁজ!
শেষপর্যন্ত দেখা গেল আগুনের কবলে।
চারজন দগ্ধ শ্রমিক মৃত হাত-পা ছড়ানো
পাশাপাশি শুয়ে আছে–
দুনিয়ার মজদুর এক হো,এই স্লোগান তুলে।

আগুন মানুষের প্রথম আবিষ্কার
আমি ভালোবাসি অগ্নিপ্রহার।
এই আলো, এই উত্তাপ
আগুনের দিকে তাকিয়ে থাকি বারবার!