এখনো লতা-য় আচ্ছন্ন-ঘোরে
সেই ছোটবেলার ভোরে—
সাত ভাই চম্পা জাগো রে, জাগো রে
কেন বোন পারুল ডাকো রে!
এখন কে ডাকিবে আর
গাছের পাতায় রোদের ঝিকিমিকি—
আলোর বাহার!

সুরের পাখি উড়ে যায়
তমাল সাহা

শীতের শিশির কি তাই ঝরে পড়েছিল ভোরে!
সে কি জেনেছিল সুরের পাখি যাবে উড়ে
নীড় ছেড়ে সুনীল সুদূরে?
কত দূর সে যেতে পারে
ভুবনায়নের সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারে?

আসলে সে চলে গেলেও আন্তর্জাতিক বাতাসে
তার সুর ভাসে হৃদয়ের গভীরে—
তোমাদের গানের আসরে এই প্রথম গাইতে আসা
কী চাইতে পারি আর!
বিনিময়ে চাই
তোমাদের প্রশংসা আর ভালোবাসা।

দুটোই পেয়েছিল সে
চলে গেল সুরলোকে অবশেষে।
আমার কথা শিশির ধোয়া হাস্নুহানার কলি।
সেসব গানের কথা সুরের লহরী কি করে ভুলি?

যা রে উড়ে যারে পাখি—
উড়ে তো গেল আর মনে পড়ে গেল—
না যেওনা রজনী এখনও বাকি।
প্রিয়তম কি লিখি তোমায়!
কী লিখবে আর!
ওগো তুমি যে আমার কত প্রিয়
প্রেম একবারই এসেছিল নীরবে।
তারপরও কত কথা কত গান গেয়েছো সরবে।
ওগো আর কিছু তো নয়—
এই কিছুটাই বা কি, রেখেছো রহস্যময়।

গাছের পাতায় রোদের ঝিকিমিকি—
কী উজ্জ্বলতা তোমার!
এত ভালো লেগেছিল রৌদ্রের প্রহার।
আকাশ প্রদীপ জ্বলে—
প্রদীপ কি লিখেছিল স্তিমিত আলোকরেখায়?
শুনলে কি তার আমন্ত্রণ
ও বাঁশি কেন গায়! আমারে কাঁদায়।

না মন ভালো লাগে না
জীবনে কিছু ভালো লাগে না
আজ মন চেয়েছে আমি হারিয়ে যাবো—
হারায় না কিছুই অন্যরূপে থাকে,
তুমি নক্ষত্রলোকে ভালো থেকো।

সত্যম শিবম সুন্দরম
অ্যায় মেরে বতন কে লোগ!—
কেন তোমরা আমায় পিছু ডাকো!

মানুষতো অবিনশ্বর নয়,
শেষপর্যন্ত সে তো চলেই যায়—
মেরি আওয়াজ হি পহেচান হ্যায়!