অবতক খবর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার প্রাকৃতিক দুর্যোগে পড়েছিল। আর তার জন্য জরুরি অবতরণ করা হয়। এই ঘটনায় কোমরে এবং পায়ে মারাত্মক চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপর তাঁকে আসতে হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এমনকী আঘাত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দিলীপ ঘোষ।

বুধবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীর এই চোট নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বলেন, ‘চোট পেয়েছেন দ্রুত সুস্থ হোন। এই কামনা করি। কিন্তু এই চোট লাগল কী করে? আসল চোট নাকি রাজনৈতিক চোট? বুঝতে পারছি না। বারবার ভোটের আগেই কীভাবে চোট পান। যে সেনাকে দিনরাত গালিগালাজ করেন, সেই সেনার হেলিপ্যাডেই নামতে হল।’ দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর চোট নিয়ে রসিকতা করে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

প্রসঙ্গত, কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে দেখানোর পর মুখ্যমন্ত্রী রাতে বাড়ি ফেরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে খোঁজখবর নেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে দিলীপ ঘোষের এমন প্রিক্রিয়া আসার পর চুপ করে থাকেনি তৃণমূল শিবির। দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পাল্টা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও কারও আঘাত নিয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করি না। কিন্তু দিলীপ ঘোষ শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছেন। এটাই ওনার স্বভাব।’

উল্লেখ্য যে, সেনাঘাঁটিতে হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। সেনাকর্তারাই তাঁকে এসকর্ট করে নিয়ে যান আলাদা ঘরে। সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে সড়কপথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। তখনই যন্ত্রণা অনুভব করেন মুখ্যমন্ত্রী। দ্রুত কলকাতায় আনা হয় তাঁকে। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি এসএসকেএম হাসপাতাল নিয়ে আসা হয়।