অবতক খবর: রাজ্যে ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট, হাতে আর ৯ দিন বাকি। এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রাক্কালে গুলি–বোমা–খুনের ঘটনায় কেঁপে উঠল কোচবিহারের দিনহাটা এলাকা। এখানে পর পর তৃণমূল কংগ্রেস নেতা–কর্মীর ওপর আক্রমণ নেমে আসছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ পেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট তলব করেছে। উত্তপ্ত ভাঙড়, ক্যানিংয়ে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এখন তিনি উত্তরবঙ্গেই আছেন। বুধবার দুপুরে রাজ্যপাল কোচবিহারে আসছেন। দু’দিন আগেই একবার ফোন করে মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল।

এদিকে দিনহাটায় মঙ্গলবার গীতালদহের জারিধরলা এলাকায় তৃণমূল–বিজেপি সংঘর্ষে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। তখন থেকেই গ্রামে চাপা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। কিন্তু সেই রেশ বজায় থাকতেই রাতে গুলি চলে গীতালদহ–১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর ভাই। এছাড়া বোমাবাজিও হচ্ছে বলে খবর। এই উত্তপ্ত এবং আতঙ্কের পরিবেশে রাজ্যপাল কোচবিহারে আসতে পারেন বলেই জানা গিয়েছে। দুপুর ৩টে নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে উঠে রাজ্যপাল কোচবিহার বিমানবন্দরে নামবেন। তবে এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে, মৃত এবং আহত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে যান রাজ্যপাল।

প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়ির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতী নিয়ে এসে খুন করা হচ্ছে। এখানের সাংসদ হলেন বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক। যিনি আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। আর এখানে বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের উদয়ন গুহ। তিনি রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। সেখানে এমন পর পর গুলি চালনার ঘটনা ঘটায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল।সূত্রের খবর তাই তিনি এখানে আসতে পারেন বলে। ইতিমধ্যেই কোচবিহার সার্কিট হাউসে রাজ্যপালের নিরাপত্তারক্ষীরা চলে এসেছেন। সেখানে ওঠার পর রাজ্যপাল দিনহাটায় যান কিনা সেটাই দেখার বিষয়।

উল্লেখ্য, ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে রাজ্যপাল এসে এখানে ঘুরে যান। তাহলেই বুঝতে পারবেন বিজেপি কেমন সন্ত্রাস করছে। আবার বিজেপি চাইছে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে নালিশ ঠুকতে। এই বিষয়ে কোচবিহারের বিজেপি জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘আমাদের বিধায়কদের নিয়ে একটি প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চায়। এই জেলায় হিংসা এবং সন্ত্রাসের কথা রাজ্যপালের কাছে তুলে ধরতে চাই আমরা।’ অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘রাজ্যপাল আগে আসুন। দেখা যাক মৃত এবং আহতদের বাড়িতে তিনি যান কিনা। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দিনহাটায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের চিহ্নিত করে তাঁদের উপর গুলি চালাচ্ছে। আমরা দ্রুত পদক্ষেপের আবেদন জানাব।’