রাজীব মুখার্জী :: অবতক খবর :: হাওড়া ::    কারো বাড়ি মোরাদাবাদে, তো কারো বা ছাপরা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা এ রাজ্যের বাসিন্দা। হাওড়া চটকলের শ্রমিকবস্তিতে তাঁদের বাস। এমনিতেই বন্ধ চটকল। ফলে মিলছে না বেতন। সেই জন্য অনেকেই সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছেন। অন্য দিকে চটকল বন্ধ থাকলেও কেন্দ্র সরকার বেতন দেওয়ার কথা বললেও তা পাচ্ছেন না শ্রমিকেরা। ফলে সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। এই অবস্থায় এগিয়ে আসে নি কেউ তাঁদের সাহায্য করার জন্য।

শ্রমিকদের দাবি, মালিক পক্ষ তাঁদের বকেয়া প্রাপ্য মিটিয়ে দিক। তাদের আরো দাবি, সংসার চালানোর জন্য আগাম তাঁদের কিছু টাকা দিক মালিক পক্ষ। যদিও মালিক পক্ষের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও সাড়া মেলেনি।

এই মুহূর্তে অন্য কোথাও মিল চালু থাকলেও সেখানেও তাদের জায়গা মিলছে না। যেহেতু তারা হাওড়ায় থাকেন তাই অন্য কোথাও গেলে তাদের সেখানে ঢুকতে দিচ্ছে না। এমন অনেক শ্রমিক রয়েছেন যাঁরা সংসারের একমাত্র রোজগেরে। ফলে পরিবারের ৪-৫  সদস্য তাঁদের উপরেই নির্ভরশীল। লকডাউনে সব থেকে বেশি মুশকিলে পড়েছেন তাঁরাই। কারো পরিবারে কেউ আবার ডাইলসিস পেশেন্ট। তার চিকিৎসার কি হবে সেটাও এখন চিন্তার বিষয় ।
এক শ্রমিক জানান, লকডাউন ঘোষণার আগে থেকে প্রায় ৭ মাস ধরে মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লকডাউনের জন্য উপার্জনের রাস্তাও বন্ধ। লোকেদের থেকে চেয়ে খেয়ে দিন কাটছে। ভাত থাকলে তরকারি কেনার অর্থ নেই। নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর অবস্থা।

শ্রমিক সংগঠনের তরফেও মালিকপক্ষ কে বারবার চিঠি দেওয়া হলেও তার কোনো উত্তর পাওয়া যায় নি বলেই দাবি এই মিলের শ্রমিক সংগঠনের থেকে। লকডাউন চলাকালীন শ্রমিকদের পিএফ থেকে লোন দেওয়ার দাবি জানালেও তাতে কর্ণপাত করেনি মালিক পক্ষ।
সব দিক দিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে পর্যদুস্ত এই শ্রমিকেরা তাই কবে মিল চালু হবে, কবে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এখন সেই দিকেই তাকিয়ে আছেন।