অবতক খবর :: নদীয়া ::   নদীয়া জেলার শান্তিপুর ব্লকের গবারচর এলাকার ২৭ বছর বয়সী এক পরিযায়ী শ্রমিক ২৫/০৬ তারিখ বাড়ি ফেরে। চেন্নাইতে সেন্টারিং এর কাজ করতো সে। লকডাউনে দীর্ঘদিন আটকে পড়ার পর, বিশেষ একটি প্লেনের খোঁজ পেয়ে, সহকর্মী মুর্শিদাবাদের আরেকজন মিলে ছটি টিকিট কাটেন গত ৯ তারিখের জন্য, সেই প্লেনটি বিশেষ কারণবশত পরবর্তী সময়ে কুড়ি তারিখ ছাড়ে, যেটা তাদের অজানা ছিলো।

সকলের অর্থের যোগান না থাকায়, এই শ্রমিকদের দলের মধ্যে থেকে একজন মুর্শিদাবাদে তার বোনকে ৬ টি টিকিট কাটতে বলেন। গত ২৫/০৬ তারিখে সকাল ১০ টা ৩৫ মিনিটে চেন্নাই থেকে প্লেনটি ছেড়ে কলকাতায় পৌঁছায় ১২:৫৫। এরমধ্যে পাঁচজন প্রত্যেকে ৭০০ টাকা মারুতি গাড়ি ভাড়া দিয়ে বাড়ি ফেরেন। ওই শ্রমিকদের মধ্যে বেলঘড়িয়ায় বাড়ি আরেক জন সদস্য অবশ্য একটি মুর্শিদাবাদ গামী ম্যাটাডোরে ফেরেন তারপরে সকলে ফুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছান এবং ফুলিয়া কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকেন। গবার চরের ঐ শ্রমিক গ্রামেরই ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকেন।

গত ২৪ তারিখে চেন্নাতে সকলের সোয়াব টেস্ট করার পর তাদের রিপোর্ট আসার জন্য তিন-চার দিন অপেক্ষা কেন পড়াতে পারলেন না চেন্নাই সরকার? প্রশ্ন তুলেছেন গবারচরের পঞ্চায়েত সদস্য কৃষ্ণপদ রাহা। প্রশ্নটা শুধু কৃষ্ণ বাবুর নয়, প্রত্যেক সচেতন নাগরিকের! বেসরকারি প্লেন কর্তৃপক্ষ, সরকারি বিধি ব্যবস্থায় থাকা কর্মকর্তাদের মনে একবারও কি এই প্রশ্নগুলো আসেনি??