অবতক খবর,২৫ জুন,বক্সিরহাট: তৃণমূলের তুফানগঞ্জ-২ ব্লক সভাপতির ধর্ম কাঁটায় জোরকরে বাড়তি ফী নেবার অভিযোগ মিথ্যে বলে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে দাবি করলেন তৃণমূলের তুফানগঞ্জ ২ ব্লক সভাপতি ধনেশ্বর বর্মন।

ভারত -বাংলাদেশ সীমান্তে অসমের সোনাহাট আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রে পিপিপি মডেলের এআইডিসি-র অধীনে একটি ধর্ম কাঁটা  লিজ নিয়েছে যার মালিক তৃণমূলের তুফানগঞ্জ ২ ব্লক কমিটির সভাপতি তথা ব্যবসায়ী ধনেশ্বর বর্মন।

অসমের একটি পোর্টল চ্যানেল বুধবার এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশ করেছে। ‌যা রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় অসম ছাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যও তার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আর ওই ভাইরাল ভিডিও সীমান্ত সংলগ্ন অসম বাংলার দুই জেলায় গত দুই দিনে প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে বিরোধী দল তো বটেই দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যেও এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে।

এদিন, নিজ দপ্তরে  এ সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এর জবাব দিলেন ধনেশ্বর বর্মন।

তিনি বলেন ‌ একজন ভারতীয় ব্যবসায়ী হিসেবে আবেদনের মাধ্যমে সরকারিভাবে তিনি ওই ধর্ম কাটার লিজের বরাত পেয়েছেন।  সরকারি চুক্তি ও নির্দেশ মোতাবেক তিনি প্রতিটি গাড়ির কাছ থেকে ৯২ টাকা পার্কিং ফি ও জিএসটি সহ ৪৪৫ টাকা বৈধ রশিদের মাধ্যমে সংগ্রহ করছেন। এক্ষেত্রে তিনি সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে এক টাকাও বেশী নিচ্ছেন না। তাই টাকা বেশি নেওয়ার অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা। তিনি জানান স্থানীয় কিছু লোক তোলা আদায়ের জন্য তাদের চাপ নেয়। কিন্তু তোলা না দেওয়াতেই কদিন ধরে তাদের উত্তক্ত করছে এমনকি সরকার নির্ধারিত ফির পরিবর্তে জোর করে ১০০ টাকা ফীর নেওয়াতে বাধ্য করাচ্ছেন তারা। সেই সঙ্গে যেহেতু পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তাই তার রাজনৈতিক ভাবমূর্তিকে নষ্ট করতে ও তার উপর চাপ বাড়াতেই প্রভাব খাটিয়ে দু-একটি সংবাদমাধ্যমকে দিয়ে এই ধরনের মিথ্যে এবং একপেশে খবর প্রকাশ করছে।

ধনেশ্বর বাবু জানান ওই সংবাদ সংস্থা এই অভিযোগ নিয়ে তার কোনো বক্তব্য ছাড়াই তা সম্প্রচার করেছে। এ ব্যাপারে তিনি ওই সংবাদ সংস্থার বিরুদ্ধে এবং যে সকল লোকেরা একাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।

তৃণমূলের তুফানগঞ্জ ২ ব্লক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ বর্মন বলেন খবরটি যেভাবে অসম ছাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গে ছড়িয়েছে তাতে তৃণমূল দলের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হয়েছে। তাই এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন জানাবেন তারা।