অবতক খবর,১৮ এপ্রিল: নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের মামলায় গত মঙ্গলবার বিশেষ আদালতে উপস্থিত হন নি অভিযুক্ত মুকুল রায়। সেই কারণে বিচারকের নির্দেশে আগামী ১৯ এপ্রিল অর্থাৎ পরবর্তী শুনানির দিন তাঁকে আদালতে সশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঐদিনও তিনি অনুপস্থিত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে।

মঙ্গলবার বিধান নগর ময়ূখ ভবনের বিশেষ আদালতের বিচারক জয় শঙ্কর রায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানিতে তিনি নিজেই অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন, এমনই ঠিক হয়ে ছিল। আর ঐদিন অভিযুক্ত পাঁচজনেরই আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর আগের রাতে হাঁসখালিতে নিজের বাড়ির কাছেই গুলিতে খুন হয়েছিলেন সত্যজিৎ। ওই রাতেই তাঁর ঘনিষ্ঠ মিলন সাহা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অভিজিৎ পুন্ডারি,সুজিত মন্ডল, কার্তিক ওরফে মিঠুন মন্ডল এবং কালিদাস মন্ডলের বিরুদ্ধে।
পরবর্তী সময়ে তদন্তে নেমে হাসখালি থানার পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।
এরপর তদন্তভার নিয়ে নেয় সিআইডি। ২০১৯ সালের ৮ মে সিআইডি আদালতে যে চার্জশিট জমা দেয় তাতে ওই পাঁচজনের মধ্যে অভিজিৎ পুন্ডারি,সুজিত মণ্ডল এবং নির্মল ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় বাকি দুজনকে রেহাই দেওয়া হয়।। পরে সিআইডি অতিরিক্ত চার্জশিট দিয়ে কৃষ্ণনগরের তৎকালীন বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় এবং রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম যুক্ত করেন।

গ্রেফতারির পর অভিজিৎ পুন্ডারি, সুজিত মন্ডল বা নির্মল ঘোষ আর জামিন পায়নি। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাদের বিচার চলছে। অন্যদিকে মুকুল এবং জগন্নাথ সরকার জামিন পেয়েছেন। গত মঙ্গলবার হেফাজতে থাকা তিনজন এবং জগন্নাথ সরকার আদালতে উপস্থিত হলেও মুকুল রায় আসেননি। হেফাজতে থাকা অভিযুক্তদের তরফে আইনজীবী সুবীর দেবনাথ এ বিষয়ে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,জামিন না পাওয়া অভিযুক্তরা দিনের পর দিন জেলের অভ্যন্তরে রয়েছেন। অথচ জামিনের মুক্ত থাকার সত্ত্বেও মুকুল রায় উপস্থিত না হয়ে বিচারকার্য প্রলম্বিত করেছেন।

এরপরই বিচারক ঐ নির্দেশ জারি করেছেন।

এদিন বিচারক জগন্নাথ সরকারকে সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে বহু প্রশ্ন করেন প্রতিটি ক্ষেত্রেই জগন্নাথ সরকার দাবি করেন তিনি নির্দোষ।। এই মামলায় বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ১৯ শে এপ্রিল এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।