অবতক খবর , নদীয়া :     শান্তিপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে নয়, এখন থেকে নিজের গ্রামে বসেই করোনা পরীক্ষার সুযোগ পাচ্ছে গ্রামবাসী। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর চিরুনি তল্লাশির মতো পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে করোনা মোকাবেলায়। একমাত্র তল্লাশি এবং পরীক্ষা এই দুই বাস্তব অনেকটাই করোনা মোকাবেলায় রাস্তা অনেকটাই সহজ করে দেবে বলে মনে করে স্বাস্থ্য দপ্তর ।

এর আগেও ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়মিত লালারস পরীক্ষার জন্য নিয়মিত সংগ্রহের কাজ চলতো। কখনো কখনো শুধুমাত্র মানবিকতা কারণেই কর্মক্ষেত্রের পরিধি গ্রাম পেরিয়ে পৌঁছে যেত শহরেও। পরিযায়ী শ্রমিকগন বাস থামিয়ে গ্রাম শহর নির্বিশেষে সকলেই পরীক্ষা করিয়ে গেছেন সেখানে থেকে। এবারে স্বাস্থ্য দপ্তরের চিন্তাভাবনার সফল রূপ দিতে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ব্লকের অধীনস্থ চব্বিশটা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেই অ্যান্টিজেন এবং লালা রস এই দুই পদ্ধতিতেই পরীক্ষার কাজ প্রায় সমাপ্তির দিকে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী খুব শীঘ্রই আবারো চব্বিশটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেই আরো একবার করোনা পরীক্ষার সুযোগ পাবেন গ্রামবাসীরা। গ্রামের আশা কর্মী ,এ এন এম, আইসিডিএস কর্মীরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রত্যেক গ্রামবাসীর স্বাস্থ্যের কথা লিপিবদ্ধ করে রাখেন সারা বছরই। তাই তাদেরকেও এই কাজের সাথে সংযুক্তিকরণ অনেকটাই সফল সাধারণ মানুষের পরীক্ষার বিষয়ে সচেতন হওয়ার জন্য। আজ ৬৫ জন অ্যান্টিজেন অর্থাৎ কিটের মাধ্যমে সাথে সাথে রিপোর্ট পাওয়া, এবং ৬৫ জনের লালা রস সংগ্রহের মাধ্যমে আগামী দু’দিনের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া সম্ভব। এভাবেই প্রায় প্রত্যেক দিন ১৩০ জন করে রোগের চিরুনি তল্লাশি করার ফলে গোষ্ঠী সংক্রমণ অনেকটাই রোখা যাবে বলে আশাবাদী জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। তবে সরকারি হাসপাতাল ব্যতীত শহরের এ ধরনের কোন উদ্যোগ এখনো নিতে দেখা যায়নি, এমনকি আক্ষেপের সঙ্গে অনেক স্বাস্থ্যকর্মীরা জানাচ্ছেন তাদের নিজেদেরই পরীক্ষা এখনো হয়নি।