অবতক খবর,১ ফেব্রুয়ারি,বাঁকুড়া:- সরকারি নির্দেশে খুলল পর্যটনকেন্দ্র, সাতসকালেই মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরে দেখা মিলল পর্যটকদের , শীত থাকতেই পর্যটন কেন্দ্র খুলে যাওয়ায় খুশি পর্যটন শিল্পের সাথে যুক্তরা ।

করোনার বাড় বাড়ন্তে দীর্ঘ এক মাস বন্ধ থাকার পর রাজ্য সরকারের নির্দেশে অবশেষে খুলে গেল বাঁকুড়ার পর্যটনকেন্দ্রগুলি। শীত বিদায় নেওয়ার আগেই পর্যটন কেন্দ্রগুলি খুলে যাওয়ায় কিছুটা হলেও লোকসান ঠেকানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন পর্যটন শিল্পের সাথে যুক্ত অসংখ্য হস্তশিল্প ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে হোটেল মালিকরা।

করোনার জেরে গত দুবছরের খরা কাটিয়ে গত বছরের শেষে কিছুটা হলেও ছন্দে ফিরেছিল বাঁকুড়ার পর্যটন শিল্প। গত বছর পুজোর পর থেকে বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুর, শুশুনিয়া ও বিষ্ণুপুর সহ অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে পর্যটকরা আসতে শুরু করায় নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেছিলেন পর্যটন শিল্পের সাথে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। কিন্তু চলতি বছরের গোড়াতেই ফের করোনা সংক্রমণ রোধে পর্যটনকেন্দ্রগুলি বন্ধের নির্দেশ জারি করে রাজ্য সরকার।

তারপর প্রায় এক মাস ধরে পর্যটকশূন্য ছিল বাঁকুড়ার সবকটি পর্যটনকেন্দ্র। একের পর এক হোটেল বুকিং বাতিল হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন হোটেল মালিকরা।  ক্রেতাশূন্য অবস্থায় হা পিত্যেশ করে বসে ছিলেন ব্যবসায়ীরা। নিজেদের পসরা বিক্রি না হওয়ায় চূড়ান্ত লোকসানের আশঙ্কার প্রহর গুনছিলেন তাঁরা। এর মাঝেই গতকাল রাজ্য সরকারের নির্দেশে ফের আজ থেকে খুলে গেল পর্যটনকেন্দ্রগুলির দরজা। সরকারি নির্দেশ ঘোষণা হতেই ফের বাতিল হওয়া হোটেলের বুকিং নতুন করে আসতে শুরু করেছে। পর্যটকরা ফের আসতে শুরু করবে এই আশায় আজ সকাল থেকে ফের বিষ্ণুপুরের মন্দিরগুলির সামনে পসরা সাজিয়ে দোকান শুরু করেছে বিভিন্ন হস্তশিল্পী সামগ্রীর বিক্রেতারা।

বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক অনুপ কুমার দত্ত জানান রাজ্য সরকারের নির্দেশে করোনা বিধিকে মান্যতা দিয়ে আগামী শনিবার থেকে খুলে দেয়া হবে বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী পোড়ামাটির হাট এর পাশাপাশি বিষ্ণুপুর টুরিস্ট স্পট আগত সকল টুলস এর উদ্দেশ্যে করণা সাবধানতা এবং করণা গাইডলাইন মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানান ।