অবতক খবর,১ ফেব্রুয়ারি,নদীয়া:- “সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী দেহি দেবী নমস্তুতে”
কয়েক দিন পরেই সরস্বতী পুজো, আধুনা বাঙালির নিজস্ব ভ্যালেন্টাইনস ডে। মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পুজো হয় বলে এই দিনটি বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। হিন্দু ধর্ম অনুসারে সরস্বতী বিদ্য়া, শিল্পকলা ও সঙ্গীতের অধিষ্ঠাত্রী দেবী।কিন্তু কী ভাবে এই দেবীর সৃষ্টি হল সে নিয়ে পুরাণে এক আশ্চর্য গল্প আছে।

হিন্দু ধর্মের সর্বোচ্চ আসনে থাকা তিন দেবতার অন্যতম হলেন ব্রহ্মা। ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরকে নিয়েই ত্রিমূর্তি। পুরাণ অনুসারে ব্রহ্মা হলেন স্বয়ম্ভ‌ু। অর্থাত্‍ তাঁর কোনও পিতা ও মাতা নেই। তিনি নিজেই নিজের জন্ম দিয়েছেন। এই আশ্চর্য জন্মের পর ব্রহ্মা ধ্যানে বসেন। সেই ধ্যানে তিনি তাঁর সকল ভালো গুণকে একত্র করতে থাকেন। আর ব্রহ্মার সকল ভালো গুণ একত্রিত হয়ে তা ধীরে ধীরে এক নারীর আকার নিতে থাকে। এই ভাবেই ব্রহ্মার মুখ গহ্বর থেকে সৃষ্টি হয় দেবী সরস্বতীর। ব্রহ্মার প্রথমে একটিই মুখ ছিল। অত্যন্ত সুন্দর সেই দেবীকে দর্শন করার জন্যই ব্রহ্মার আরও চারটি মুখের সৃষ্টি হয়।পুরাণ অনুসারে ব্রহ্মা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করলেও নিজের সৃষ্টি নিয়ে তিনি খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না। সরস্বতী তাঁকে এই বিশ্বকে কী ভাবে আরও সুন্দর করে তোলা যায়, সে সম্পর্কে পরামর্শ দেন।

পুরাণের কোথাও কোথাও সরস্বতীর স্বামী হিসেবে বিষ্ণুর কথা উল্লেখ করা আছে। আবার কোথাও ব্রহ্মাকে সরস্বতীর স্বামী হিসেবে বলা হয়েছে। পুরাণের একটি কাহিনি অনুসারে একবার কোনও একটি অনুষ্ঠানে ব্রহ্মার পাশে সময়মতো এসে উপস্থিত হতে পারেননি সরস্বতী। সেই কারণে ব্রহ্মা গায়ত্রী নামে নিজের আরও এক স্ত্রীর সৃষ্টি করেন। সেই কথা জানতে পেরে অত্যন্ত ক্র‌ুদ্ধ হয়ে ওঠেন সরস্বতী। তিনি ব্রহ্মাকে অভিশাপ দেন যে ত্রিমূর্তির অন্যতম হলেও মর্ত্যলোকে ব্রহ্মার পুজো করা হবে না। সেই কারণে শিব ও বিষ্ণু পূজিত হলেও ব্রহ্মার মন্দির সে ভাবে কোথাও দেখা যায় না।

তাই সরস্বতী পূজার প্রাক্কালেই আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম শান্তিপুরের কুমোরটুলিতে যেখানে জোরকদমে চলছে সরস্বতী মূর্তি তৈরীর কাজ ইতিমধ্যে অনেক মূর্তি তৈরি হয়ে গিয়েছে কিছু মূর্তি চলে গেছে দূর-দূরান্তে আজ আমরা সেই সমস্ত শিল্পীদের কাছে পৌঁছে গেলাম যারা সুন্দর মাতৃমূর্তির রূপ দান করে থাকেন করোনা আবহের পর এ বছর একটু বেশি আশার আলো দেখছে শিল্পীরা তবে তাদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস সামনে বৃষ্টি আসতে চলেছে মূর্তির অর্ডার সেরকম পাই নি এমনটা জানাচ্ছেন শিল্পীরা খুব কষ্টের মধ্যেও একটু আশার আলো দেখছেন তারা তবে সারা বাংলার তথা স্কুল কলেজ বিভিন্ন জায়গায় সরস্বতী পুজো হবে তাই জোরকদমে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। তবে বড় ঠাকুরের থেকে ছোট ঠাকুরের চাহিদা বাড়ছে বলে জানা গেছে।